• কূটনৈতিক সংবাদ
  • লিড নিউজ

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে পাশে থাকতে চাই ভারত: নরেন্দ্র মোদি

  • কূটনৈতিক সংবাদ
  • লিড নিউজ
  • ০১ নভেম্বর, ২০২৩ ১৩:০২:৫৯

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যে পরিকল্পনা নিয়েছে তা বাস্তবায়নে ভারতের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় ভারতের অর্থায়নে বাস্তবায়িত তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের যৌথভাবে উদ্বোধনের সময় এমন মন্তব্য করেন মোদি। 

ভারতের সরকারপ্রধান নয়াদিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে অংশ নেন। পরে দুই দেশের সরকারপ্রধান প্রকল্প তিনটির উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ হবে জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে ভারতের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, আমরা গর্বিত এ কারণে যে বাংলাদেশ আমাদের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক ক্রমাগত নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছে। এমনকি গত ৯ বছরে উভয় দেশ একসঙ্গে যে কাজ করেছে, তা আগের কয়েক দশকেও হয়নি।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘সীমান্তে শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা স্থল সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এটি কয়েক দশক ধরে ঝুলে ছিল। আমরা সমুদ্রসীমার বিরোধও সমাধান করেছি। গত ৯ বছরে ৩টি নতুন বাস পরিষেবা চালুর মাধ্যমে ঢাকা, শিলং, আগরতলা, গুয়াহাটি এবং কলকাতার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত ৯ বছরে ৩টি নতুন ট্রেন পরিষেবাও শুরু হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে পার্সেল এবং কন্টেইনার ট্রেনগুলোও ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলছে। গঙ্গা বিলাস নামে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরী চালু করে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পর্যটনও চাঙ্গা করা হয়েছে।

আজ যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে সেগুলো হলো- আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ, খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট।

মূলত ভারত সরকারের ৩৯২ কোটি ৫২ লাখ টাকার অনুদান সহায়তার আওতায় বাস্তবায়িত হয়েছে আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ প্রকল্পটি। এর মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক প্রসার ঘটবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ ও ভারত।

খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের ছাড়ের লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় ৩৮৮ দশমিক ৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মোংলা ব্রডগেজ রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

অন্যদিকে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ভারতীয় ঋণ সহায়তার আওতায় মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের রামপালে অবস্থিত একটি ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট (২x৬৬০) সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমএসটিপিপি) প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo