টানা দুদিন পর বাড়লো সূচক, কমেছে লেনদেন

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ টানা দুই কার্যদিবস কমার পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক কিছুটা বেড়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। তবে লেনদেন কিছুটা কমেছে।

এর আগে গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে নানান গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়। তবে, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অংশীজনদের সঙ্গে দু’টি বৈঠক পতন কাটিয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফেরে শেয়ারবাজার। অবশ্য গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে মূল্যসূচক বাড়লেও লেনদেন কমে ২০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে আসে।

আর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২০ আগস্ট) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে পতন প্রবণতা দেখা গেলেও, শেষ এক ঘণ্টার লেনদেনের ওপর ভর করে সবকটি মূল্যসূচক বাড়ে। সেইসঙ্গে বড় হয় দাম বাড়ার তালিকা এবং বাড়ে লেনদেনের গতি। পরের কার্যদিবস সোমবারও (২১ আগস্ট) সবকটি মূল্যসূচক বাড়ে। সেইসঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায় বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি লেনদেন বেড়ে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে চলে আসে।

কিন্তু সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে এসে আবার পতনের মধ্যে পড়ে শেয়ারবাজার। এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার পাশাপাশি, সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়। তবে, লেনদেন বেড়ে ৫০০ কোটি টাকার ঘরে চলে আসে। আর চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (২৩ আগস্ট) সূচকের পতনের পাশাপাশি কমে লেনদেন।

এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যায়। অবশ্য শেষ পর্যন্ত দাম বাড়ার তালিকায় বড় হয়েছে। সেইসঙ্গে সবকটি মূল্যসূচক বেড়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সবখাত মিলে ৭৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭১টির। আর ১৬৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৮০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৩০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকটি মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের গতি কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪১৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৩৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ২০ কোটি ২২ লাখ টাকা।

গত কয়েক কার্যদিবসের মতো লেনদেনের শীর্ষ স্থানটি ধরে রেখেছে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৮ কোটি ৬৮ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স ২২ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সোনালী পেপার, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, জেমিনি সি ফুড, ইয়াকিন পলিমার, এসকে ট্রিমস, এমারেল্ড অয়েল এবং লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ।

অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪১টির এবং ৬৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।