• অর্থনীতি

খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের ঝাঁজ এখন কেজিতে ২২০ টাকা

  • অর্থনীতি
  • ০৬ জুলাই, ২০২৩ ১৫:২৭:৪৫

ছবিঃ সিএনআই

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর স্থানীয় বাজার গুলোতে কমতে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের দাম। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমের অজুহাতে গাইবান্ধার বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রেতারা দাম হাঁকিয়েছিল ৫০০ টাকা পর্যন্ত। যা এখন অনেকটা কমে এসেছে। বিশেষ করে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। সরবরাহ বাড়লে আরও দাম কমে আসবে বলেও জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

বৃহস্পতিবার  (৬ জুলাই ) সরেজমিনে গাইবান্ধার পুরাতন বাজার,নতুন বাজার,হর্কাস মার্কেট,দারিয়াপুর,লক্ষ্মীপুর,লেংগা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের অধিকাংশ দোকানেই কাঁচা মরিচ চাহিদার তুলনায়  মিলছে না। দু-একটি দোকানে মোটামুটি  পরিমাণে কাঁচা মরিচ বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে। বাড়তি দামের কারণে ক্রেতারা কাঁচা মরিচের পরিবর্তনে অনেকে শুট মরিচ কিনছে। জেলার স্থানীয় বাজারে  কাঁচা মরিচ কিনতে আসা কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন,বাজারে কাঁচা মরিচের গায়ে আগুন লেগেছে।দোকানীরা যেভাবে পারছে দাম বাড়িয়েই চলছে।

এমনকি দুইদিন আগেও ৪০০ টাকা দিয়ে এক কেজি মরিচ কিনতে হয়েছে। যদিও এখন ২২০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে ।তবু এই দাম আমাদের নাগালের বাহিরে। তারা আরও বলেন, আমাদের মতো মানুষের সংসার চালাতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। আগে যেখানে কাঁচা মরিচ এক কেজি বা হাফ কেজি কিনতাম, এখন তা দুঃস্বপ্ন হয়ে গেছে। অন্যদিকে বিক্রেতার বলছেন,  কাঁচা মরিচ চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ও আমদানি অনেকটা কম যার কারণে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে।গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ পরিচালক খোরশেদ আলমের সাথে মুঠোফোন কথা হলে তিনি বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে মরিচ গাছের ফুল ও জোয়ার নষ্ট হয়েছে।

এমনকি কিছু কিছু মরিচ ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে মরিচের গাছ মারা গেছে। এতে করে কৃষকের পূর্বে তুলনায় মরিচ উৎপাদন কম হয়েছে। যার ফলে বাজারে মরিচের দাম কিছুটা বৃদ্ধি হয়েছিল।তিনি আরও বলেন,অন্যান্য জেলার তুলনায় গাইবান্ধা মরিচের উৎপাদন বেশি হয়।তবু পরবর্তী বছর গুলোতে যাতে করে কাঁচা মরিচের সংকট না হয় এবং আরও বেশি উৎপাদন করা যায় সেজন্য সাধারণ কৃষকদের মাঝে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo