• সমগ্র বাংলা

বাড়ি ফেরা হলোনা গ্রাম পুলিশ বকুল শেখের

  • সমগ্র বাংলা
  • ২৯ মে, ২০২৩ ১২:৪৮:২৬

ছবিঃ সংগৃহীত

নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলের লোহাগড়ায় এক গ্রাম পুলিশকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তার নাম বকুল শেখ। তিনি উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রোববার (২৮ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামের পূর্বপাড়ায় এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত বকুল শেখ ওই গ্রামের বদি শেখের ছেলে। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাসির উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও নিহতের পারিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুমড়ি পূর্ব পাড়া রেজ্জাকের চায়ের দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বকুল। পথে গোলাপ শেখের বাড়ির কাছে পৌঁছালে ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত দেশীয় ধারাল অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তাকে। পরে স্থানীয় লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের ছেলে রাকিব শেখ বলেন, খুনিরা আগে থেকে ওত পেতে ছিল। এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে যারা জড়িত বাবা তাদের নাম বলে গেছেন। কুমড়ি গ্রামের পাগল ও আয়নালের সঙ্গে আমাদের শত্রুতা ছিল। ওরা দু’জন ডাকাতি করতো। পুলিশ ওদের গ্রেফতার করলে ওরা প্রামপুলিশ হিসেবে বাবার দোষ দিতো।

এ কারণে পাগলের ছেলে আজমল, আয়নাল, হোসেন শেখ, রুবেল, মাহমুদ, ইয়ামিনসহ তাদের লোকজন আমার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। বিষয়টি পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী, জেলা পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন, লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজগর আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ দোলন মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন বলেন, রোববার সকালে পরিষদের মিটিং ছিল। বকুল শেখ দায়িত্ব পালন করে বাড়িতে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। দ্রুত হত্যার রহস্য উদঘাটন করে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, গ্রাম পুলিশ বকুল শেখ আমাদেরই একজন সদস্য।

এই ন্যক্কারজনক হত্যাকান্ডে জড়িতদের ধরতে প্রশাসন সচেষ্ট আছেন। সরকারের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে তাৎক্ষণিক ২৫ হাজার টাকা দাফন বাবদ দিয়েছি। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারটিকে সার্বিক সহযোগিতা করব। লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন,ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সকালে নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এছাড়া হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo