• স্বাস্থ্য

ফ্যাটি লিভারের গুরুতর যে লক্ষণগুলো দেখা দেয় রাতে

  • স্বাস্থ্য
  • ২২ মে, ২০২৩ ১৮:০২:৫২

ছবিঃ সংগৃহীত

স্বাস্থ্য ডেস্কঃ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগ নিয়ন্ত্রণে না আনলে লিভারের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায় ও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্যমতে, ফ্যাটি লিভার ডিজিজ তখনই হয় যখন লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে। যদিও সুস্থ লিভারে একটি নির্দিষ্ট মাত্রার চর্বি থাকে। তবে যদি পরিমাণটি লিভারের ওজনের ৫-১০ শতাংশের বেশি হয় তাহলে তা ফ্যাটি লিভার হিসেবে বিবেচিত হয়।

বিভিন্ন সমীক্ষার তথ্য অনুসারে, ফ্যাটি লিভারের রোগীদের মধ্যে ৭-৩০ শতাংশ মানুষ এর গুরুতর লক্ষণে ভোগেন। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা গুরুতর আকার ধারণ করলে লিভার আরও ফুলে যায়, লিভারের টিস্যুতে দাগ পড়ে, এমনকি পেটেও কালচে ছোপ পড়ে। ফ্যাটি লিভার থেকে এক সময় লিভারের সিরোসিসও হতে পারে।

ফ্যাটি লিভার কেন হয়?

যদিও ফ্যাটি লিভার রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। তবে অ্যালকোহল পানের কারণে অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হয়ে থাকে। অন্যদিকে ভুল জীবনধারণ ও খাদ্যভ্যাসই মূলত নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের অন্যতম কারণ।

নন-অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার ডিজিজে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রথমদিকে কোনো উপসর্গ টের না পেলেও পরবর্তী সময়ে এটি আরও গুরুতর আকার ধারণ করে।

ফ্যাটি লিভারের কোন লক্ষণ রাতে দেখা দেয়?

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ জানান, ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত ব্যাক্তিরা সন্ধ্যা বা রাতে হাত-পায়ের তালুতে চুলকানি অনুভব করে। বেশিরভাগ মানুষই এটি সাধারণ সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যান।

তবে এটি হতে পারে ফ্যাটি লিভারের অন্যতম এক গুরুতর লক্ষণ। নিয়মিত এই সমস্যা দেখলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।

যদিও মায়ো ক্লিনিকের তথ্য অনুসারে, ফ্যাটি লিভারের রোগে চুলকানি একটি বিরল ঘটনা। এটি প্রাথমিক বিলিয়ারি সিরোসিস (পিবিসি), প্রাথমিক স্কলেরোসিসসহ অন্যান্য ধরনের লিভারের রোগের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ।

তবে কেন এমন চুলকানি হয়?

বিজ্ঞানীরা এখনও লিভারের রোগের সঙ্গে যুক্ত চুলকানির কারণ শনাক্ত করতে পারেননি। তবে কিছু বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেন, যাদের যকৃতের রোগ আছে তাদের ত্বকের নীচে পিত্ত লবণের উচ্চ মাত্রা থাকায় চুলকানির সৃষ্টি হতে পারে।

লিভারের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কেন চুলকানি অনুভব করেন তার পেছনে আরেকটি কারণ হতে পারে সিরাম অ্যালকালাইন ফসফেটেস (এএলপি)। এটি একটি এনজাইম যা রক্তে পাওয়া যায় ও শরীরে প্রোটিন ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে)।

চুলকানি প্রতিরোধে করণীয়

. হালকা সুগন্ধিমুক্ত সাবান বেছে নিন।
. গোসলের সময় হালকা গরম বা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন।
. চুলকানির জায়গায় একটি ঠান্ডা বা ভেজা কম্প্রেস প্রয়োগ করুন।
. রোদ বা গরম পরিবেশ এড়িয়ে চলুন।
. ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।

সূত্র: মায়োক্লিনিক/ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo