• বিশেষ প্রতিবেদন

ঠাকুরগাঁওয়ে বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ১২:৫২:৫৫

ছবিঃ সিএনআই

আব্দুল আওয়াল, ঠাকুরগাঁওঃ ঠাকুগাঁওয়ে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশায় ঘর থেকে বের হওয়াই যেন দায়। ঠাকুরগাঁওয়ে বোরো বীজতলা থেকে চারা তুলে এক ফসলি জমিতে রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। কনকনে শীত উপেক্ষা করে প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমি প্রস্তুত, পানি সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ ও বীজ তুলছেন তারা। কেউ জমিতে হাল দিচ্ছেন, কেউ তৈরি জমি ভিজিয়ে রাখছেন সেচ দিয়ে। সব কাজ শেষ করে অনেকে বীজতলা থেকে চারা তুলে রোপণ করছেন খেতে। চারা রোপণসহ প্রতিটি কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করলেও শান্তি নেই কৃষকের মনে। হতাশা সবার মধ্যে। 

কারণ ধানের ন্যায্য দাম না পেলে লোকসান গুনতে হবে।বুধবার  (৮ ফেব্রয়ারি) ঠাকুরগাঁও সদর পুরাতন ঠাকুরগাঁও উপজেলার,মোহাম্মাদপুর,জামালপুর শিবগঞ্জ আশপাশ এলাকা ঘুরে দেখা যায় ধান চাষের জন্য জমি প্রস্তুত, বীজতলা থেকে বোরো ধানের চারা তুলে রোপণ করা হচ্ছে। আবার জমিপরিচর্যায় ব্যস্ত অনেকে।জামালপুর এলাকার ধান চাষি কালাম হাওলাদার বলেন, তেলের দাম বাড়ায় টিলার মেশিন দিয়ে হালচাষের খরচ বাড়ছে। কৃষি কাজই আমাদের পেশা। অন্য কাজ জানি না। কয়েক বছর ধরে লোকসান গুনছি, তবু আশায় বুক বেঁধে বোরো আবাদ করছি।’

একই এলাকার কৃষক আলোমগীর  বলেন, ‘আমাদের এলাকা কৃষিনির্ভর। এ অঞ্চলের প্রায় সব কৃষক বর্গাচাষি। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে অন্যের জমি চাষ করেন অনেকে।’শিবগঞ্জ এলাকার কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, ‘বোরো ধান চাষ করতে বীজতলা তৈরি করেছি। বীজ বড় হয়েছে। জমি প্রস্তুত করা শেষ। দুই এক দিনের মধ্যে জমিতে বীজ রোপণ করবো।ভেলাজান এলাকার কৃষক গিয়াস উদ্দিন বলেন, এক ২ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করেছি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বোরো ধান চাষ করতে সার ও বীজ পেয়েছি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ইতিমধ্যে ৩ হাজার কৃষকের মধ্যে প্রণোদনার সার, বীজ বিতরণ করেছে। চলতি বছর ঠাকুরগাঁও ১৫৬০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।ঠাকুরগাঁও উপজেলা কৃষি সুত্রে  বলেন, কৃষকদেরকে আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতিসহ সকল প্রকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। উপজেলায় এবার ১৫৬০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলনও ভালো হওয়ার আশা করছি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo