• অপরাধ ও দুর্নীতি

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা, আটক ৩

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:৫৯:৪৯

ছবিঃ সিএনআই

মোহাম্মদ জাহিদ, কুড়িগ্রামঃ সাংবাদিক ও ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা করায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে তিন জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ্দ করেছে জনতা। এসময়  তাদের দুই সহযোগী কৌশলে পালিয়েছে। গত সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের শিমুলতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। 

আটকৃতরা হলেন, জেলার উলিপুর উপজেলার যমুনা ডালিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে এবং শীর্ষ নিউজ-২৪ এর কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি পরিচয় দানকারী সিরাজুল ইসলাম (২৯), একই উপজেলার মালতিবাড়ী মোল্লাপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তা পরিচয় দানকারী মিঠু মিয়া (৩০) ও নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ এলাকার মনির উদ্দিনের ছেলে এবং সিএনএন ওয়াল্ড-২৪ এর রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি পরিচয় দানকারী আব্দুল আজিজ মিয়া (৩৫)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে পাঁচ সদস্যের একটি দল শিমুলতলা বাজারের মজিবর রহমানের ওষুধের দোকান ও আনিছুর রহমানের আয়শা ফার্মেসীতে গিয়ে নিজেদেরকে ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সাংবাদিক পরিচয় দেন। এ সময় তারা দোকানের ড্রাগ লাইসেন্স ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ আছে কিনা দেখতে চান। দোকানদার লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ হলে তারা দুই দোকানের মালিকের কাছে বিশ হাজার টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা না দিলে মামলার হুমকি দেন তারা। এরপর পাশের আশরাফুলের চায়ের দোকানে গিয়ে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের অজুহাতে পাঁচ হাজার টাকা আদায় করেন। তাদের অসংলগ্ন কথা-বার্তায় দোকানদারদের সন্দেহ হলে উপস্থিত লোকজন তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেন। এসময় কৌশলে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সবুজপাড়া গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে আব্দুস ছালাম (৩৬) ও উলিপুর ধরনীবাড়ী এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মোস্তাফিজার রহমান বাবু (২৮) পালিয়ে যান। পরে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জনতার হাতে আটক তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন ধরে এই চক্রটি কখনও সাংবাদিক, কখনও ডিবি, কখনও পুলিশ ও ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিল। 

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পাঁচ জনের বিরুদ্ধে  থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করে বিকালে আটক তিনজনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে ।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo