• বিশেষ প্রতিবেদন
  • লিড নিউজ

আশুগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুতের খুটি, হুমকিতে রিভারক্রসিং টাওয়ার

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • লিড নিউজ
  • ০২ নভেম্বর, ২০২২ ১৩:০২:১৬

ছবিঃ সিএনআই

হাসান জাবেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের চরসোনারামপুরে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে চরের মধ্যে থাকা আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের রিভারক্রসিং টাওয়ারের দুই পাশ।

ঢেউয়ের তোড়ে টাওয়ারের নিরাপত্তায় দেয়া উত্তর ও পুর্ব পােশর সিমেন্টের ব্লক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে এবং দুই পাশের অন্তত ১৫ ফুটের বেশি এলাকায় নদীতে তলিয়ে গেছে।

ভাঙ্গন এ এখনো অব্যাহত থাকায় চরের মানুষ আতংকে রয়েছে। ইতমধ্যে ৬টি বসতঘরসহ গৃহস্থালি অন্যান্য স্থাপনা, হুমকিতে রয়েছে আরও অন্তত ৮-১০টি বাড়িঘর। এছাড়া ঝড়ে গাছ ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো দুটি বস্তঘর।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিবছর নদী ভাঙ্গন হলেও ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে যে ভাঙ্গন হয়েছে তা গত তিনবছরের চেয়ে কয়েকগুন বেশি ক্ষতি হয়েছে। তারা দ্রুত ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জাননিয়েছেন। অন্যথায় পুরু চরটি বিলীন হওয়ার আশংকা করছেন তারা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি বাংলাদেশ( পিজিসিবি) কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে চর ও টাওয়ার এলাকা পরিদর্শন করেছে।

ক্ষতিগ্রস্তদেও প্রাথমিক ভাবে আর্থিক সহায়তা ও প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মানে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছে ইউএনও। এদিকের্ স্থায়ী ও প্রাথমিক প্রতিরক্ষায় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পিজিসিবি কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।

চরবাসী জানায়, সিত্রাং এর প্রভাবে গত সোমবার ভোর থেকে গুড়ি গুড়ি বৃস্টি ও প্রবল বেগে ঝড়ো হওয়া বইতে শুরু করে। ঝড়ো হাওয়ায় নদীতে প্রবল বেগে ঢেউ শুরু হলে সোমবার বিকাল থেকে চরের লোকনাথ পাড়া ও মধ্যপাড়ায় এলাকার বিভিন্ন অংশে বিশেষ করে চরের পুর্ব ও উত্তর পাশে ভাঙ্গন শুরু হয়।

অন্তত ৮-১০টি ঘর নদী ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে। চরের মধ্যে পাড়ায় শ^শান এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন হয়েছে। বেশ কয়েকটি গাছ ও একটি বাড়ির নিরাপত্তা দেয়াল নদীতে ভেঙ্গে নদীতে তলিয়ে গেছে।

এদিকে চরের লোকনাথ পাড়ার পুর্বপাশে রয়েছে আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের রিভার ক্রসিং টাওয়ার। টাওয়ার রক্ষায় তিন পাশে (উত্তর,দক্ষিন ও পুর্ব) যে সিমেন্টের ব্লক ও বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছেল প্রচন্ড ঢেউয়ের তোড়ে উত্তর ও পুর্ব পাশের এসব ব্লক ও জিও ব্যাগ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনে টাওয়ার এলাকার দুই পাশের প্রায় ১০-১৫ ফুট এলাকা তলিয়ে গেছে। এখনো ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।

এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঞ্জুর রহমান জানান, আমরা সরেজমিনে ভাঙ্গনস্থল পরিদর্শন করেছি। আমাদের উর্ধ্বতন মহলে বিষয়টি অবহিত করেছি।

এব্যাপারে পিজিসিবি‘র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাইনুল ইসলাম বলেন, আমাদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবগত করেছেন। গত সপ্তাহে বুয়েটের বিশেষঞ্জ টিম টাওয়ার এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতে দ্রুত টাওয়ার রক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে কিংবা টাওয়ার প্রতিস্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হবে। তাছাড়া উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অস্থায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

এব্যাপারের আশুগঞ্জের ইউএনও অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জেলা প্রশাসক স্যার বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাধঁ নির্মানে উর্ধতন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo