• জাতীয়

সব দখলদারকেই খালের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে: মেয়র তাপস

  • জাতীয়
  • ১২ অক্টোবর, ২০২২ ১৮:২৫:০১

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ সব দখলদারকেই খালের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (১২ অক্টোবর) কালু নগর স্লুইস গেইট সংলগ্ন এলাকায় আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তাপস বলেন, আমরা দখলদারের নাম নিয়ে চিন্তিত না। নাম আমাদের কাছে বিষয় না। আপনারা লক্ষ্য করেছেন, এখানে ১০ তলা ভবন হয়ে গেছে। আজ থেকে ভাঙার কাজ শুরু হবে। আগামী বুধবার আবার পরিদর্শনে আসবো। আমরা আশা করি, (অবৈধ ভবনের) যে অংশটা খালের মধ্যে বা নদীর মধ্যে পড়েছে সে অংশটা থাকবে না। সুতরাং সবাইকে ছেড়ে দিতে হবে। এতদিন যে দখল করে খেয়েছে সেটা এখন থেকে ছেড়ে দিতে হবে। আর যদি না ছাড়ে তাহলে আমরা এটা ভেঙে দেবো।

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল সংশ্লিষ্ট সব সরকারি সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে এ সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আদি বুড়িগঙ্গা পুনরুদ্ধারে আমরা বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করেছি। আমরা এরই মধ্যে খনন কাজ শুরু করেছি।

‘আজ থেকে আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে আমাদের জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ, আমাদের সম্পত্তি বিভাগ ও অন্যান্য সংস্থাসহ সবাই যৌথভাবে আমরা পরিমাপ করছি, সীমানা চিহ্নিত করেছি। আজ থেকেই আমরা সেই সীমানা চিহ্নিতকরণ এবং স্থায়ীভাবে সীমানা পিলার লাগিয়ে দেবো। আমরা আশাবাদী, এ কার্যক্রম ইনশাআল্লাহ অচিরেই দৃশ্যমান হবে এবং আদি বুড়িগঙ্গা তার সেই পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসতে পারবে।’

স্থায়ীভাবে আদি বুড়িগঙ্গা পুনরুদ্ধার করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আদি বুড়িগঙ্গার সিএস এবং অন্যান্য নকশা অনুযায়ী-নদীর অববাহিকা বা নদীর সীমানা যেখানে বেশি আছে আমরা সেটাকে ধরছি। সেটাকেই ধরে আমরা সব অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করবো। সেখানে নদীর অববাহিকা ও নদীর গতিপথ সৃষ্টি করে আমরা তার পাশ দিয়ে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করবো। যেন মানুষজন হেঁটে, সাইকেল চালিয়ে চলাফেরা করতে পারে। আমরা গণপরিসর প্রতিষ্ঠা করবো যেন মানুষজন নদীকে উপভোগ করতে পারে এবং ঢাকার পূর্বের সেই প্রতিচ্ছবি ফিরে আসে।

এসময় ডেঙ্গু নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এখনো রয়েছে। আজ আশ্বিন মাসের ২৭ তারিখ হওয়া সত্ত্বেও বৃষ্টি হচ্ছে। এখনো আমরা বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। যার কারণে আমরা লক্ষ্য করছি যে, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এখনো রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত ১০ অক্টোবরের হিসাব অনুযায়ী (সারাদেশে মোট) ৬৪২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তার মধ্যে মাত্র ৪০ জন হলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের। সুতরাং আমাদের সার্বক্ষণিক যে কার্যক্রম চলছে, তাতে আমরা ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। তারপরও অনেক প্রতিকূলতা রয়েছে। ডেঙ্গু পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত, প্রাদুর্ভাব নেমে না আসা পর্যন্ত আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo