• অর্থনীতি

আমের নায্য দামে ব্যবসায়ীর মুখে স্বস্তির হাসি

  • অর্থনীতি
  • ২০ জুলাই, ২০২২ ১৭:১৫:০২

ছবিঃ সিএনআই

মোঃফারুক হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:  আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এবার জেলায় আমের ফলন কম হলেও নায্য দাম পেয়ে ব্যাপক খুশি আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা। ৫ বছর পর আমের নায্য দাম পাচ্ছেন চাষিরা। আম বাগানিরা বলছেন; ৪০ কেজিতে আমের মণ হলেও, কিন্তু কানসাট বাজারে আড়ৎদারেরা ৫০-৫২ কেজিতে আমের মণ নিচ্ছেন। এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বাগান মালিকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে; সোমবার (১৮ জুলাই) কানসাটের আম বাজারে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে আম্রপালি আর কম দামে বিক্রি হচ্ছে আশ্বিনা। বাজারে আম্রপালি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা মণ পর্যন্ত। আশ্বিনা আম বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। ফজলি আম বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও ল্যাংড়া, ক্ষিরশাপাতসহ গুটি জাতের আম বাজারে তেমন নাই।

আব্দুর রাজ্জাক নামের এক চাষি বলেন; ‘এবার মৌসুমের প্রথম দিকে তীব্র দাবদাহের কারণে অনেক আমের গুটি ঝরে গেছে। এছাড়াও বড় গাছগুলোতে মুকুল ঝরে পড়ে। ফলে বড় গাছ গুলোতে এবার আম নাই বললেই চলে। আমের ফলন কম হলেও, আমের নায্য দাম পেয়ে খুশি।’

আতাউর রহমান নামের আরেক জন আম চাষি  বলেন; ‘সম্প্রতি বছর গুলোতে আমের দাম পাইনি জেলার আম সংশ্লিষ্টরা। ৫ বছর পর এবার বাজার চাঙ্গা হয়েছে। বিগত বছরগুলো সর্বোচ্চ ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা মণ পর্যন্ত ফজলি আম বিক্রি করেছি। এবার ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা মণ দরে ফজলি আম বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ফ্রুড ব্যাগের আমগুলো অনান্য আমের তুলনায় বেশি বিক্রি হচ্ছে।’

মাইনুল ইসলাম এক আম বাগানি বলেন; ‘ ৪০ কেজিতে মণ হলেও কানসাটের আম বাজারে ৫০ কেজিতে মণ নিচ্ছেন আড়ৎদার। এমনও আছে ৫২ কেজিতে মণ নেওয়ান পরেও হয়রানী করে। এমন করে চলতে থাকলে সামনের বছর গুলোতে ৬০ কেজিতে মণ নিবে আড়ৎদারেরা। তারা একটি সংগঠন করে ভীত শক্ত করে আমাদের ঠকাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে একাধিকবার গিয়েও এ বিষয়ে কোন সুরাহা হয়নি।’

কানসাট আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক টিপু বলেন; ‘আমাদের কিছুই করার নাই। আমরা চাষিদের কাছ থেকে ৫০ কিংবা ৫২ কেজিতে আম কিনি না। বাহিরের জেলার ব্যাপারীরা এসব ওজনে আম কিনেন। আমরাও চাই স্থানীয় প্রশাসন একটি ওজন নির্ধারণ করে দিক, সে অনুযায়ী আমরা আম কিনবো। কিন্তু প্রশাসন কোন ওজনই নির্ধারণ করেনি।’

চাঁপাইনববাগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের ‍উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন; ‘প্রায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হচ্ছে। এবার মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ১৫ মেট্রিক টন।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত গবেষণা কেন্দ্রর  মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান বলেন; ‘গাছের যে উৎপাদনের শক্তি নায় ক্ষয় হয়ে গেছে। ফলে পুরনো আমের গাছগুলোতে মুকুল কম হওয়ায় আমের ফলনও কম হয়েছে। কিন্তু ১০ থেকে ১২ বছরসহ নাবি জাতের আম গাছগুলো মুকুলে ছেয়ে গেছে। এবার যেসব আম উৎপাদন হয়েছে, তা ছোট গাছের বাগান থেকে হয়েছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo