• আন্তর্জাতিক

সমকামী বিয়ে সাংবিধানিক অধিকার নয়

  • আন্তর্জাতিক
  • ২১ জুন, ২০২২ ১৯:৩৭:৩৩

ছবিঃ সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সমকামী বিয়ে সাংবিধানিক অধিকার নয় বলে জানিয়েছেন জাপানের এক আদালত। দেশে সমকামী দম্পতির বিয়ের আইনি অনুমোদন চাওয়া অধিকারকর্মীদের এক মামলায় এই রায় দেন আদালত।

সমকামী বিয়ের অনুমতি চাওয়া একটি মামলা সোমবার খারিজ করে দিয়েছে ওসাকা জেলা আদালত। সেই মামলায় তিন সমকামী দম্পতি সরকারের কাছে জনপ্রতি ১ মিলিয়ন ইয়েন (প্রায় ৭ হাজার ৪০০ ডলার) ক্ষতিপূরণ চেয়েছিল।

তারা দাবি করেছিলেন, দেশে সমকামী বিয়ের স্বীকৃতির অভাবে সাম্যের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। কিন্তু আদালত সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন। ওসাকা আদালতের রায় সমকামী অধিকার কর্মীদের আশাকে ধূলিসাৎ করেছে।

রায়ে বলা হয়, সংবিধানের অধীনে বিয়ে সংজ্ঞায়নে একই লিঙ্গের মধ্যে বিয়ে হওয়ার বিষয় উল্লেখ নেই। আদালতের এই রায় ২০২১ সালের মার্চ মাসে জাপানের উত্তর হোক্কাইডো প্রিফেকচারের সাপ্পোরো জেলা আদালতের ঐতিহাসিক রায়ের সম্পূর্ণ বিপরীত।

সমকামী বিয়ে স্বীকৃতি দিতে সরকারের ব্যর্থতাকে সমতার সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছিলেন সাপ্পোরো আদালত। যদিও সে রায়েও ক্ষতিপূরণের দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল।

জি সেভেন গ্রুপের জাপানই একমাত্র দেশ, যেখানে জাতীয় পর্যায়ে সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তবে দেশের কিছু অংশে ‘অংশীদারিত্বের শংসাপত্র’ ইস্যু করে যা সমকামী দম্পতিদের কিছু অধিকার দেওয়া হয়। সম্পত্তি ভাড়া দেওয়ার অনুমতি দেওয়া ও হাসপাতালে চিকিৎসার অধিকার রয়েছে।

জাপানে ১৯৮০ সাল থেকে সমকামি যৌনতা বৈধ ও কিছু এশিয়ান দেশের তুলনায় তুলনামূলকভাবে উদার। ঔপনিবেশিক যুগের আইন পরিবর্তন করার জন্য চাপ স্বত্বেও সিঙ্গাপুরে সমকামী যৌনতা অবৈধ। ভারতের সুপ্রিম কোর্টও ২০১৮ সালে রায় দেয়, সমকামী যৌনতা আর ফৌজদারি অপরাধ নয়। তবে দেশটি সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দেয় না।

চীনে সমকামী বিয়ের স্বীকৃতি নেই। যদিও চীনে সমকামী সম্পর্কের বিরুদ্ধে কোন আইন নেই। তবে এটি একটি নিষিদ্ধ বিষয় যা নিয়মিতভাবে যাচাই করা হয়। এমনকি সামাজিক মাধ্যমেও সেন্সর করা হয়। এশিয়ার কিছু দেশে এই বিষয়ে সাম্প্রতিক অগ্রগতি দেখা গেছে। এশিয়ায় প্রথম ২০১৯ সালে স্ব-শাসিত দ্বীপ তাইওয়ানে সমকামী বিয়ে বৈধতা দেওয়া হয়।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo