আরিচা ও কাজিরহাটে পন্টুন পানির নীচে ফেরি চলাচল ব্যহত

ছবিঃ সিএনআই

শাহজাহান বিশ্বাস,মানিকগঞ্জ: নদীতে  হঠাৎ করে  পানি বৃদ্ধি কারণে আরিচা ও কাজিরহাটের দু'টি ফেরি পন্টুন পানির নীচে ডুবে বন্ধ রয়েছে দুটি ঘাট ।এদিকে পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া ঘাটের পন্টুনগুলো লো-ওয়াটার লেবেল থেকে হাই ওয়াটার লেবেলে স্থানান্তরের কাজ চলছে।এতে ফেরি লোড-আনলোডে বিঘ্ন ঘটছে।ফলে ব্যাহত হচ্ছে আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি সার্ভিস। এসব ঘাটগুলোতে ৮শতাধিক যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।  

 বিআইডব্লিটিসি’র আরিচা আঞ্চলিক অফিস সুত্রে জানা গেছে, উজান থেকে ঢলের পানি নেমে আসায় বিগত তিন দিন ধরে পদ্মা-যমুনায় দ্রুতগতিতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পরযন্ত ২৪ ঘন্টায় আরিচা ঘাটের কাছে যমুনা নদীর পানি ৮৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে তিনটি ফেরি চলাচল করছে। দুই পারে দু’টি করে ঘাট রয়েছে। এর মধ্যে উভয় পারেই একটি করে ঘাট সচল রয়েছে।বাকী দুই পারের দু’টি ঘাট পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় ফেরি লোড-আনলোড চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে।ফলে শুক্রবার সকালে আরিচা ফেরি ঘাট এলাকা থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ১কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ফেরি পার হতে আসা পণ্যবাহী ট্রাকে দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।ফেরি পার হতে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে আরিচা ঘাটে।

এদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যহত হচ্ছে।পন্টুনগুলো বার বার স্থানান্তর করতে হচ্ছে। এতে দফায় দফায় ফেরি লোড-আনলোড বন্ধ থাকছে।ফলে উভয় পারে ৮শতাধিক যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।    

 ট্রাক চালক শামিম জানান, সে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় আরিচা ঘাটে আসেন ফেরি পার হওয়ার জন্য শুক্রবার দুপুর ১২ টাতেও ফেরি পার হতে পারেন নি তিনি।

মাইক্রোবাস চালক আব্দুল আলিম জানান,তিনি যাবেন পাবনার ইশ্বরদীতে।ফেরি পার হতে শুক্রবার সকাল ৮টায় আসেন আরিচা ঘাটে।তিনি বেলা ১টায় দীর্ঘ ৫ঘন্টা অপেক্ষার পর ফেরিতে উঠতে সক্ষম হন।

বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম জানান, নদীতে অস্বাভাবিক মাত্রায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।তবে আমাদের ঘাট বানানো আছে। এখন শুধু পন্টুনগুলো লো-ওয়াটার লেবেল থেকে তুলে মিড ওয়াটার লেবেলে স্থানান্তর করলেই চলবে।আর এ কাজটি করবে বিআডব্লিউটিসি।  

বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা ঘাটের ম্যানেজার আবু আব্দুল্লাহ বলেন, অরিচা-কাজিরহাটে দু’টি করে চারটি ঘাট রয়েছে।চারটি ঘাটের পন্টুন পানিতে নিন্মজিত হয়ে পড়েছে।দুই পারে দু’টি ঘাট সম্পূ্র্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। দু’টি ঘাট দিয়ে কোন রকমে ফেরি সার্ভিস চালু রাখ হয়েছে।যে হারে পানি বাড়ছে তাতে পন্টুনগুলো লো-ওয়াটার লেবেল থেকে মিড ওয়াটার লেবেলে  উঠাতে পারলে এ সমস্যা থাকবে না বলে তিনি জানান।