রংপুর চিড়িয়াখানার ৩ হরিণ বিক্রি

ছবিঃ সিএনআই

নজরুল ইসলাম,রংপুর ব্যুরোঃ রংপুর চিড়িয়াখানায় ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত থেকে তিনটি হরিণ বিক্রি করা হয়েছে।সরকার নির্ধারিত মূল্য হিসাবে দেড়  লাখ টাকায় হরিণ তিনটি কিনেছেন চট্টগ্রামের একজন সৌখিন ব্যবসায়ী।রংপুর চিড়িয়াখানায় ৩৫ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে বলে জানান ডেপুটি কিউরেটর। 

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর আম্বর আলী তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এরআগে বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম জেলার চকবাজার এলাকার ব্যবসায়ী গহর সিরাজ জামিল তিনটি হরিণ ক্রয় করেন। এর মধ্যে একটি পুরুষ ও দুটি মেয়ে হরিণ রয়েছে।এই হরিণের কেনার জন্য বিভিন্ন জেলা ও  বিভাগ থেকে ব্যবসায়ীরা প্রস্তাবদেন।সরকারী নিয়ম অনুযায়ী হরিণ বিক্রয় করার জন্য আবেদন করতে হয় মন্ত্রনালয়ে।  

রংপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানান,ব্যবসায়ী গহর সিরাজ জামিল হরিণ তিনটি কেনার আগে চট্টগ্রাম বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে সেখানকার চিড়িয়াখানায় যোগাযোগ করেন।কিš‘ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাতে অতিরিক্ত হরিণ না থাকায় সেখান থেকে রংপুর চিড়িয়াখানার মাধ্যমে হরিণ ক্রয়ের প্রস্তাব দেন।সেই প্রস্তাব অনুয়ায়ী ৩টি হরিণ বিক্রয় করেছি। 

গতকাল বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম জেলার চকবাজার এলাকার ব্যবসায়ী গহর সিরাজ জামিল হরিণ ৩টি ক্রযের জন্য রংপুরে আসেন।হরিণগুলোর মধ্যে একটি পুরুষ ও দুটি মেয়ে হরিণ রয়েছে বলে জানান চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। 

ডেপুটি কিউরেটর আম্বর আলী তালুকদার বলেন,রংপুর চিড়িয়াখানার তিনটি শেডে ৩০-৪০টি হরিণের থাকার মতো জায়গা রয়েছে। করোনা মহামারিতে দীর্ঘ সময় সরকারি নির্দেশে চিড়িয়াখানা বন্ধ রাখা হয়।ওই সময়ে নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশ বিরাজ করছিল।গাছগাছালিতে ভরা বনজঙ্গলের নীরব,পরিবেশে খাঁচাবন্দী পশু-পাখির প্রজনন ক্ষমতা বেড়ে যায়। ঘোড়া, হরিণ, গাধা, বানর, ময়ূর, মদনটেকসহ আরও বেশকিছু প্রাণীর ঘরে এসেছে নতুন অতিথি।এপয়ন্ত ৩৫ প্রজাতির প্রাণী রংপুর চিড়িয়াখানায়।

তিনি আরও বলেন, রংপুর চিড়িয়াখানার বাঘ মারা য্ওায়া পর যে বাঘ আসার কথা সে বাঘ অতিদ্রæত চিড়িয়াখানায় আনা হ”েছ।বাঘ আসলে পরিপুর্ণ একটি রংপুর চিড়িয়াখানা হবে।প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে হরিণের সংখ্যা বেড়ে ৫৭-তে দাঁড়িয়েছে।সেখান থেকে চলতি মাসে ৩টি হরিণ বিক্রির ঘোষণা দেয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।এই ঘোষণার পর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রংপুর থেকে তিনটি হরিণ কিনেছেন এক ব্যবসায়ী।

এ বিষয়ে ব্যবসায়ী গহর সিরাজ জামিল জানান,দীর্ঘদিনের শখ থেকে হরিণ ৩টি কিনেছেন। তবে এ জন্য তিনি হয়রানির শিকারও  হয়ে।চট্টগ্রামে আবেদনসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার অনেকদিন পর রংপুর চিড়িয়াখানা থেকে ৩টি হরিণ কেনার সুযোগ হয়েছে। এই ৩টি হরিণের মধ্যে ২টি মেয়ে ও ১টি পুরুষ হরিণ।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের (প্রাণিসম্পদ-২)এক প্রজ্ঞাপনে হরিণের দাম পুনঃনির্ধারণ করা হয়।এতে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত প্রাণী বিক্রি করছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় কিছু হরিণ বিক্রি করা হচ্ছে।এর আগে হরিণের দাম ৭০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা কমিয়ে নতুন করে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।