• বিশেষ প্রতিবেদন

চাটমোহরে গৃহপালিত দুটি মোরগের দৃষ্টি নন্দন লড়াই

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ১৩:৪৬:৪৮

ছবিঃ সিএনআই

পাবনা প্রতিনিধিঃ গতকাল সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে পাবনার চাটমোহর বাসটার্মিনাল এলাকায় দুটি গৃহপালিত মোরগ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হলে তা এ এলাকার মানুষের বিনোদনে বাড়তি মাত্রা যোগ করে। মোড়গের লড়াই দেখার জন্য সেখানে খুব দ্রুত উৎসুক বেশ কিছু মানুষের ভীড় জমে যায়। ঠোঁট ও নখের সাহায্যে লড়াই করে একে অপরকে প্রায় রক্তাক্ত করে ফেলে। প্রশিক্ষণ বিহীন মোরগ দুটির মধ্যে একটি লড়াইয়ে অপারগতা প্রকাশ করে স্থান পরিবর্তন করে অন্যত্র সরে গেলে এ লড়াইয়ের সমাপ্তি ঘটে।

মোরগের লড়াই সম্পর্কে জানা যায়, প্রায় ছয় হাজার বছর পূর্বে প্রাচীন পারস্যে এ ক্রীড়া শুরু হয়েছিল। সিন্ধু সভ্যতায় সে এলাকার মানুষ অবসর সময়ে অবসরকালীন ক্রীড়া হিসেবে মোরগের লড়াই উপভোগ করতেন। ধারণা করা হয় ভারতীয় লাল বনমোরগ ব্যবহারের মাধ্যমে এ খেলার শুরু হলেও পরে গৃহপালিত মোরগকেও এ লড়াইয়ে যুক্ত করা হয়। ভারত, পারস্য, চীনসহ পূর্বাঞ্চলে এ লড়াই শুরু হওয়ার পর ক্রমশই তা গ্রিস, এশিয়া মাইনর, রোমসহ উত্তরাঞ্চলে ছড়াতে শুরু করে। ষোড়শ শতকের শুরু থেকে উনবিংশ শতক পর্যন্ত সমাজের উঁচু শ্রেণীর মানুষের কাছে মোরগ লড়াই প্রতিযোগিতা বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এটি বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হতে থাকে। রক্তাক্ত ক্রীড়া হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় প্রাণী কল্যান এবং প্রাণী অধিকার কর্মীরা এ লড়াইয়ের বিরোধীতা করে আসছেন।

চাটমোহরের চরসেনগ্রামের বাসিন্দা পাখি প্রেমী ব্যাংক কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ বাবুল সিএনআইকে জানান, মোরগের লড়াইয়ে জিতে সম্মান অর্জনের লোভে পরে অসাধুরা মোরগের লড়াই করাতে প্রবৃত্ত হন। তারা তাদের পালনকৃত মোরগের মধ্যে লড়াইয়ের প্রবৃত্তি তৈরীর পরিবেশ সৃষ্টি করেন। মোরগের লড়াই আইন বহির্ভুত বিষয় হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় অনেক দেশই মোরগের লড়াই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এর পরও বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের অসাধুরা জুয়ারীরা ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও জুয়া খেলার মাধ্যম হিসেবে মোরগের লড়াইয়ের আয়োজন করেন। এশিয়ার কিছু অঞ্চল এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশ সমূহে এখনো বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে মোরগের লড়াইয়ের আয়োজন করা হয় যা বন্ধ হওয়া একান্ত আবশ্যক।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo