• সমগ্র বাংলা
  • লিড নিউজ

রূপপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে নিউক্লিয়ার ডে উদযাপন

  • সমগ্র বাংলা
  • লিড নিউজ
  • ৩০ নভেম্বর, ২০২১ ১৮:০০:৪৯

ছবিঃ সিএনআই

পাবনা প্রতিনিধি : প্রতিবারের মতো এবারও বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ‘নিউক্লিয়ার ডে উদযাপন’ করা হয়েছে। বাংলাদেশের পরমাণু ক্লাবে প্রবেশের দিনটিকে স্মরণ করে নিউক্লিয়ার ডে হিসেবে পালন করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়।

কর্মসূচির মধ্যে ছিল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় প্রকল্পের প্রবেশপথ ১নং গেট চত্বরে দিনব্যাপী ‘নিউ ক্লিয়ার ডে- ২০২১’ উপলক্ষে বক্তব্য দেন ও কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। এরপর রঙিন বেলুন ও সাদা রঙের পায়রা উড়িয়ে উৎসবের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন। এর আগে স্বাগত বক্তব্য দেন নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রূপপুর প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর। শোভাযাত্রাটি রূপপুর মোড় ঘুরে প্রকল্পের ভেতরে আলোচনা সভাস্থলে এসে শেষ হয়।

রঙিন বেলুন ও সাদা রঙের পায়রা উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সানোয়ার হোসেন, ঈশ্বরদীর ইউএনও পিএম ইমরুল কায়েস, ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, রূপপুর প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ এবিএম রুহুল কুদ্দুস সহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ভিভিইআর-১২০০ মডেলের দুটি পারমাণবিক চুল্লি স্থাপন করা হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায়। রাশিয়ার পারমাণবিক সংস্থা রোসাটম এর ডিজাইন এবং তাদের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় দেশের প্রথম এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে বাংলাদেশ।

১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগে ঢাকা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মহাযজ্ঞ চলছে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে দেশের প্রথম ও ব্যয়বহুল এ বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম রিয়্যাক্টর বিল্ডিংয়ে যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ সম্প্ন্ন হয়েছে। একইসঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, ‘দেশের সর্ববৃহৎ এ প্রকল্পের কাজ নিরবিচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে চলছে। দেশের প্রথম এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে বিরাট ভূমিকা রাখবে। চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পের কাজ ঠিক পথে এগিয়ে চলেছে, ফলে ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট থেকে ১২০০ মেগাওয়াট ও পরবর্তী বছর দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশের গর্বের একটি প্রকল্প। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে নিউক্লিয়ার ক্লাবের সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের কংক্রিট ঢালাইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ব পরমাণু ক্লাবে সংযুক্ত হয়েছে, আর এ কারণেই এ দিনটিকে স্মরণ করে পরমাণু দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo