• সমগ্র বাংলা

ভোলায় লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে 

  • সমগ্র বাংলা
  • ০২ আগস্ট, ২০২১ ১১:৩৬:১০

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে লঞ্চ চালুর নির্দেশনার দ্বিতীয় দিনে ভোলার লঞ্চঘাটগুলোতে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।

সোমবার (০২ আগস্ট) সকাল থেকেই ঢাকামুখী যাত্রীরা ইলিশা ঘাটে এসে ভিড় করছেন। কর্মস্থলে যোগ দিতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই গাদাগাদি করে লঞ্চে পারাপার হচ্ছেন তারা।

সীমিত পরিসরে লঞ্চ চলাচল করার কথা থাকলেও তা কেউ মানছেন না। লঞ্চে অর্ধেক আসনের জায়গায় অতিরিক্ত আসনজুড়েই যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। ফলে লঞ্চে সামাজিক দূরত্ব পুরোপুরি উপেক্ষিত হচ্ছে। লঞ্চগুলোও মানছে না নিয়ম। শুধু শতভাগ আসন নয়, দ্বিগুণের বেশি যাত্রী নিয়ে রাজধানী ঢাকা ও লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে।

কথা হয় এমভি গ্রীনলাইনের যাত্রী ফাহাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি সৌদি প্রবাসী। আগামীকাল আমার ফ্লাইট। গতকাল রাতে এসে লঞ্চ পাইনি। এখন লঞ্চ পেলাম। ঢাকা গেলে গাড়ি পাবো তো?

আরেক যাত্রী সোহেল ইমাম। তিনি ঢাকার এক প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, গত দুদিন ফেসবুকের কল্যাণে যাত্রীদের ভোগান্তি দেখে ঢাকা যাওয়ার সাহস পাইনি। ভাবলাম আজ যাত্রী কম হবে, তাই রওনা দিলাম। কিন্তু এখনো পা রাখার জায়গা নেই।

ওয়াটার বাস এমভি গ্রীনলাইনের ম্যানেজার লক্ষণ দাস বলেন, বিআইডব্লিউটিএর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মাইকিং করছি। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রীদের আসন নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইলিশা লঞ্চঘাটের ইজারাদার মো. সরোয়ারদি মাস্টার বলেন, ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম নৌ-পথ। শিল্প-কারখানা খোলা ও সীমিত পরিসরে লঞ্চ ছাড়ার ঘোষণার পর পরই ঘাটে ঢাকা-লক্ষ্মীপুরমুখী যাত্রীদের ঢল শুরু হয়েছে। আমার মতে, সরকার লঞ্চ চলাচলের সময় আরও ২-১ দিন বাড়ালে যাত্রীদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হতো না।

বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক কামরুজ্জামান জানান, বিআইডব্লিউটিএ নির্দেশনা অনুযায়ী, সারাদেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করবে। আজ ভোর থেকে ভোলা ও চরফ্যাশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে পাঁচটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ ইলিশা-লক্ষ্মীপুর রুটে সিট্রাক চলাচল করছে। এরপরও রাজধানী ঢাকার জন্য দুটি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পেলে ওই লঞ্চ ছাড়া হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo