• সমগ্র বাংলা

তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে

  • সমগ্র বাংলা
  • ২১ মার্চ, ২০২১ ১৯:৪০:১৫

ছবিঃ সিএনআই

রংপুর ব্যুরোঃ সরকারের ভারত তোষন নীতির কারণেই বন্ধুত্বের আড়ালে পানি শোষন করে বাংলাদেশকে মরুভুমিতে পরিনত করেছে।তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে।

রোববার(২১ মার্চ)দুপুরে রংপুর মহানগরীর শাপলা চত্বরে বাসদ আয়োজিত তিস্তা অভিমুখে রোর্ডমার্চ শুরুরে আগে সমাবেশে এসব কথা বলেন বাসদের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।পরে বাসদের উদ্যোগে লাল পাতাকা নয়ে পায়ে হেটে রোর্ড মার্চকারীরা যান জেলা স্কুল মাঠে।

রংপুর জেলা স্কুল মাঠে থেকে বাসে পাগলাপীর,বড়ভিটা, জলঢাকা হযে তিস্তা ব্যারেজে অবস্থান মেষে ডিমলা উপজেলা চত্বরে গিয়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে লংমার্চ।গত ১৯ মার্চ ঢাকা থেকে লংমার্চটি শুরু হয়ে রাতে বগুড়ায় যাত্রা বিরতির পর ২০ মাচ রাতে রংপুর এসে পৌছায়।

বাসদের রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এই রোডমার্চকে জীবন জীবিকা রক্ষার আন্দোলন হিসেবে দাবি করে অবিলম্বে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি জানান আয়োজক ও অংশগ্রহনকারীরা।বলেন,বন্ধুত্বের  আড়ালে আওয়ামীলীগ সরকারের ভারতকে সব কিছু দিয়ে দিচ্ছে।বিনিময়ে ন্যায্য হিস্যাটাও আদায় করতে পারছে না। আসন্ন মোদির সফরে তিস্তার পানি চুক্তির বিষয়টি তুলে ধরারও দাবি জানান তারা।    

তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে"তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন"এর উদ্যোগে  তিস্তা রোর্ড মার্চ রংপুর থেকে তিস্তা ব্যারেজের দিকে যাত্রা শুরু করেছে।এর আগে রংপুর শাপলা চত্বরে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বাসদ এর আহবায়ক আবদুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন।

ভারত আন্তর্জাতিক নদী আইন লংঘন করে তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীতে বাঁধ-ব্যারেজ নির্মান করে একতরফভাবে পানি প্রত্যাহার করছে।ভারতের পানি আগ্রাসনের কারণে বাংলাদেশের কৃষি-পরিবেশ-প্রকৃতি বিপন্ন দশায় পতিত হচ্ছে।স্বাধীনতা পরবর্ত্তী সময়ে ক্ষমতাসীন সকল শাসকগোষ্ঠীর ভারতের প্রতি নতজানু নীতির কারণে আমরা পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ব্যর্থ হয়েছি।

ভারত বাংলাদেশকে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করে সুন্দরবনে  প্রাণ-প্রকৃতি বিধ্বংসী রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মানসহ নানা অন্যায্য সুযোগ-সুবিধা আদায়ে তৎপর রয়েছে।

বক্তারা বলেন,তিস্তাসহ অভিন্ন পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে সরকারের আলোচনা উত্থাপন করা উচিত।স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উৎসবের পূর্বেই তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে সরকারকে সব ধরণেরতৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে। উত্তরবঙ্গ তথা বাংলাদেশকে মর“করণের বিপদ থেকে রক্ষা করতে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের বিকল্প নেই।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo