ফাইল ছবি
নিউজ ডেস্কঃ ইন্টারনেট সেবাদাতা ও সুরক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ক্লাউডফ্লেয়ারের সাম্প্রতিক ‘২০২৫ ইয়ার ইন রিভিউ’ প্রতিবেদনে বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের এক চমকপ্রদ চিত্র উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে মানুষের ইন্টারনেট ব্যবহারের হার আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ট্রাফিক বেড়েছে ১৯ শতাংশ। প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ম্যাশবল এই প্রতিবেদনের তথ্যগুলো প্রকাশ করেছে।
২০২৫ সালের এই ইন্টারনেট বিপ্লবে বড় ভূমিকা রেখেছে ইলন মাস্কের স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট। দুর্গম এলাকাগুলোতে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে স্টারলিংকের ব্যবহার এ বছর ২.৩ গুণ বেড়েছে এবং তারা ১০ হাজারতম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাইলফলক স্পর্শ করেছে।
অন্যদিকে, দীর্ঘদিনের পুরনো এওএল ডায়াল-আপ ইন্টারনেট সেবা এ বছর পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে, যা ডিজিটাল যুগের এক বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
বর্তমানে ইন্টারনেটে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দাপট স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ক্লাউডফ্লেয়ারের তথ্যমতে, ইন্টারনেটের মোট এইচটিএমএল অনুরোধের ৪.২ শতাংশই এখন আসে বিভিন্ন এআই বট থেকে। বছরের প্রথম সাত মাস ট্রাফিক স্থিতিশীল থাকলেও জুলাই মাসের পর থেকে এটি দ্রুত বাড়তে শুরু করে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই জোয়ারে সবচেয়ে জনপ্রিয় এআই সেবা হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে চ্যাটজিপিটি। এরপরেই অবস্থান করছে ক্লাউড ও পারপ্লেক্সিটি, যেখানে গুগলের জেমিনি রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
এআই নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা থাকলেও জনপ্রিয়তার দিক থেকে গুগল এখনো অপ্রতিদ্বন্দ্বী। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইন্টারনেট সেবা হিসেবে শীর্ষস্থান দখল করে আছে গুগল। তালিকার পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে ফেসবুক, অ্যাপল এবং মাইক্রোসফট।
মজার বিষয় হলো, চ্যাটজিপিটি ব্যাপক জনপ্রিয় হলেও এখনো ট্রাফিকের দিক থেকে শীর্ষ ১০-এর তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেনি। গুগল এখনো বিশ্বের এক নম্বর সার্চ ইঞ্জিন এবং সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ব্রাউজার হিসেবে রাজত্ব করছে ক্রোম। এমনকি ইন্টারনেটে সবচেয়ে সক্রিয় ভেরিফায়েড বট হিসেবেও ‘গুগল বট’ শীর্ষে রয়েছে।
ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েড এখনো আইওএসের চেয়ে এগিয়ে। বিশ্বজুড়ে ৬৫ শতাংশ ইন্টারনেট ট্রাফিক আসছে অ্যান্ড্রয়েড চালিত ডিভাইস থেকে।
তবে অঞ্চলভেদে এই পরিসংখ্যানে ভিন্নতা দেখা যায়, যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ৫৬ শতাংশ মোবাইল ট্রাফিক আসে আইওএস বা আইফোন থেকে। ক্লাউডফ্লেয়ারের এই বিশ্লেষণকে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য মনে করা হয়, কারণ তারা বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেটের বিশাল অবকাঠামো নিয়ন্ত্রণ করে। চলতি বছর একবার প্রতিষ্ঠানটির সেবা সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হওয়ায় গুগল, স্পটিফাই ও ডিসকর্ডের মতো জনপ্রিয় অ্যাপগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, যা প্রমাণ করে বর্তমান অনলাইন বিশ্বে ক্লাউডফ্লেয়ারের কার্যক্রমের পরিধি।
তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ কি আপনার মনে...
তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক : আজকাল হাত ধোয়া, শপিং ট্রলিতে স্যানিটাইজার ব...
তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক : ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জের সময় ...
তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে নতুন কনটেন্ট ক্র...
তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক : বিশ্বের অনেক মানুষ নানা কারণে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার...

মন্তব্য (০)