ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্কঃ ভয়ঙ্কর টাইফুন ‘কালমেগি’র প্রভাবে মধ্য ফিলিপাইনে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই দুর্যোগে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৪০ জন ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া ১২৭ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ঝড়টি বর্তমানে ভিয়েতনামের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। খবর এএফপির।
এই সপ্তাহে সেবু প্রদেশের শহরগুলোতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় গাড়ি, নদীর ধারের স্থাপনা, এমনকি বিশাল জাহাজের কন্টেইনার পর্যন্ত ভেসে গেছে।
দেশটির জাতীয় নাগরিক প্রতিরক্ষা অফিস বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ১১৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। তবে এর সঙ্গে সেবু প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের রেকর্ড করা অতিরিক্ত ২৮ জনের মৃত্যুর খবর যুক্ত হলে এই সংখ্যা ১৪০ ছাড়িয়ে যাবে।
সেবু সিটির কাছে লিলোয়ান শহরে ৩৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এএফপি সাংবাদিকরা সেখানে দেখেছেন বন্যার পানিতে গাড়ি স্তূপীকৃত হয়ে আছে, বহু ভবনের ছাদ ভেঙে পড়েছে।
লিলোয়ানের ২৯ বছর বয়সী অ্যাটনের পরিবার এক মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার মুখে পড়ে, যেখানে তার প্রতিবন্ধী বোন ঘরে আটকা পড়েছিলেন। অ্যাটন জানান, তিনি ও তাঁর বাবা মিলে ছুরি ও শাবল দিয়ে দরজা খোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন, পরে যখন রেফ্রিজারেটর ভেসে উঠতে শুরু করে, তখন তারা দু’জন জানালা খুলে সাঁতরে বেরিয়ে আসেন। তার বাবা তাকে বলেছিলেন, তারা আর বোনকে বাঁচাতে পারবেন না, কারণ চেষ্টা করলে তারা তিনজনই মারা যেতে পারতেন। পাশের নেগ্রোস দ্বীপেও কমপক্ষে ৩০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ লেফটেন্যান্ট স্টিফেন পলিনার এএফপিকে জানান, টাইফুন কালমেগির কারণে খুব জোরে বৃষ্টির ফলে কানলাওন আগ্নেয়গিরির জমে থাকা মাটি ও কাদা ধসে পড়ে। এই কাদা ক্যানলাওন শহরের অনেক ঘরবাড়ি চাপা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত বছর আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের পর তার ওপরে যে পদার্থ জমা হয়েছিল, বৃষ্টিতে সেগুলো আলগা হয়ে গ্রামগুলোর ওপর এসে পড়ে। এছাড়া, টাইফুনে দুর্গতদের সাহায্য করতে যাওয়ার সময় একটি সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ায় তার ছয়জন ক্রু মারা গেছেন।
নিউজ ডেস্ক : ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী দেশ গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ ক্রিস...
নিউজ ডেস্ক : ফুটবলের ‘একত্রীকরণ শক্তি’ তুলে ধরার কথা বলে ফিফ...
নিউজ ডেস্কঃ গাজায় বিদ্যমান পরিস্থিতিকে এখনো যুদ্ধবিরতি বলা য...
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সুদানে একটি কিন্ডারগার্টেনসহ একাধিক স্থান...
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রবল বন্যা ও ভূমিধসের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব...

মন্তব্য (০)