• লিড নিউজ
  • জাতীয়

‎ব্যয়বহুল মেগা প্রকল্পের পরিবর্তে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী সুরক্ষায় মনোযোগের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

  • Lead News
  • জাতীয়

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাইরের দেশগুলোর অর্থায়ন না থাকলেও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

‎মানুষ যদি জলবায়ু বিপর্যয়ে ভোগে এবং নিরাপদ পানি না পায়, তবে উন্নয়নের কোনো অর্থ থাকে না। তাই ব্যয়বহুল মেগা প্রকল্প থেকে সরে এসে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষায় মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের মোভেনপিক, সেন্টোরাস-এ আয়োজিত ২৮তম সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট কনফারেন্সের অতিথিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

‎আঞ্চলিক সহযোগিতা, কমিউনিটি ক্ষমতায়ন ও মানুষকেন্দ্রিক নীতি প্রাধান্য দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন,  সরকার, সিভিল সোসাইটি ও বেসরকারি খাত একযোগে কাজ করলে জনগণের হতাশা ইতিবাচক পরিবর্তনের শক্তিতে রূপ নিতে পারে। পাশাপাশি প্রকৃত স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তুলতে হবে নিচ থেকে- সহযোগিতা, আচরণগত পরিবর্তন ও নতুন করে জন আস্থা অর্জনের মাধ্যমে।

‎উপদেষ্টা বলেন, তীব্র রাজনৈতিক বিভাজন ও সংকীর্ণ স্বার্থপরতা জাতীয় ও আঞ্চলিক অগ্রাধিকারকে দুর্বল করে দিচ্ছে, ফলে যৌথ অগ্রগতির সুযোগ হাতছাড়া হচ্ছে। শ্রীলঙ্কা থেকে নেপাল পর্যন্ত সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এমন অস্থিরতাই হতে পারে শাসনব্যবস্থা পুনর্বিবেচনা, অর্থনৈতিক পথপরিক্রমা নতুন করে নির্ধারণ এবং তরুণ নেতৃত্বকে এগিয়ে আনার সুযোগ।

‎বিশ্বব্যাপী তরুণদের আন্দোলনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকের যুবসমাজ শুধু জলবায়ু ন্যায়বিচারই নয়, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও মর্যাদার দাবি করছে। তিনি সতর্ক করেন যে ভবিষ্যতের পৃথিবী- যেখানে খাদ্য- পানির সংকট, চরম আবহাওয়া ও জলবায়ু বাস্তুচ্যুতি বাড়বে; তা হবে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অসহনীয়, যদি এখনই কাঠামোগত সংস্কার না আনা হয়।

‎এসডিজি ও জলবায়ু অর্থায়ন প্রসঙ্গে তিনি বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতির ঘাটতি তুলে ধরে বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোকে একটি সুন্দর এসডিজি মেন্যু দেওয়া হয়েছে, কিন্তু অর্ডার দেওয়ার মতো সম্পদ দেওয়া হয়নি।’

‎তিনি অন্ত:সারশূন্য ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড’ এবং জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচারের বদলে ঋণ দেওয়ার নীতি সমালোচনা করেন। অনুষ্ঠানে ২৩টি দেশের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান পাকিস্তানের অ্যাক্টিং প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ইউসুফ রাজা গিলানি।

‎এতে আরো বক্তৃতা করেন, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইনস্টিটিউট (এসডিপিআই)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. আবিদ কিউ. সুলেরি এবং পাথ-এর এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ অঞ্চলের প্রধান নাবিল গোহীর।

মন্তব্য (০)





image

‎বিসিএস (পশুসম্পদ) ক্যাডারের জন্য সমন্বিত মেকআপ কোর্সের ব...

নিউজ ডেস্কঃ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিসিএস (পশ...

image

‎জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জরাজীর্ণ ভোটকেন্দ্র সং...

নিউজ ডেস্কঃ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটকেন্দ...

image

‘গণতন্ত্র সুসংহত করতে নেয়া পদক্ষেপ সংবিধানের কাঠামো পরিপন...

নিউজ ডেস্কঃ অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, গণতন্...

image

‎চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭৫ শতাংশ অগ্রগতি, প্রধান উপদ...

নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা হ্রাসে নেওয়া পদক্ষেপে ...

image

‎বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার প্রস্তাব আয়ারল্যান্ডের

নিউজ ডেস্কঃ আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের চলমান পুলিশ সংস্কার প্রচে...

  • company_logo