• লিড নিউজ
  • জাতীয়

জুবায়েদ হত্যার আসল কারণ জানাল পুলিশ

  • Lead News
  • জাতীয়

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ দুই দিনের মাথায় অবশেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসাইনকে হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। 

‎মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে হত্যার রহস্য উন্মোচন করেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।

‎পুলিশ জানায়, টিউশনির ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষার পরিকল্পনায় খুন হন জুবায়েদ। মূলত, মাহীরের সঙ্গে প্রেম করলেও জুবায়েদের সঙ্গে পরিচয়ের পর তার প্রেমে পড়ে বর্ষা। এটা মাহীর জানতো না। কিন্তু দুজনের সাথে একইসঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রক্ষা করে গেছে বর্ষা। 

‎মাহীর যখন এটি জানতে পারে তখন তার সঙ্গে ব্রেকআপ করে বর্ষা। কিন্তু মাহীরকে কিছুতেই ভুলতে পারছিলেন না বর্ষা। তাই কিছুদিন পরই বর্ষা তার আগের বয়ফ্রেন্ড মাহীরকে জানায়, জুবায়েদকে আর ভালো লাগে না। তখন জুবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে বর্ষা ও মাহীর। এমনকি, সে মাহিরকে বলে, জুবায়েদকে না মারলে তুমি আমাকে পাবা না। এরপর ২৫ সেপ্টেম্বর জুবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তারা। সেজন্য নতুন দুটি সুইচ গিয়ার চাকুও কিনা হয় এবং সেটি দিয়েই এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে জুবায়েদকে হত্যা করা হয়।

‎অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) নজরুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনা আলোচিত সেই মিন্নির ঘটনার মতো। এটি ত্রিভুজ প্রেমের ঘটনা। গত ২৫ সেপ্টেম্বরের পর মাহীরের সঙ্গে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে বর্ষা।

‎এ সময় লালবাগ জোনের ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি বলেন, জুবায়েদ যখন মারা যায় তখন বর্ষা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। হত্যার ব্যাপারে বর্ষা আগেই কনফার্ম হইছে। পুরো হত্যাকাণ্ড বর্ষা পর্যবেক্ষণ করেছে।

‎জুবায়েদ হত্যার ৪১ ঘণ্টা পর মামলা-

‎জুবায়েদ হত্যার ৪১ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বংশাল থানায় মামলা করেন জোবায়েদের ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত। মামলায় টিউশনের ছাত্রী (১৯) ও প্রেমিক মো. মাহির রহমানসহ (১৯) তিনজন আসামি রয়েছেন। মামলার অন্য আসামি হলেন, ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

‎মামলার এজাহারে জানা গেছে, জুবায়েদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি টিউশন করতেন। প্রতিদিনের মতো তিনি ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বংশাল থানাধীন নুর বক্স লেনের রৌশান ভিলায় ছাত্রীকে পড়ানোর জন্য যান। একই তারিখে সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটের সময় জুবায়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই সৈকতকে ছাত্রী মেসেঞ্জারের মাধ্যমে জানান, স্যার খুন হয়ে গেছে। কে বা কারা তাকে খুন করে ফেলছে। 

‎ঘটনার বিষয়টি একই তারিখ রাত ৭টার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. কামরুল হাসান মামলার বাদী জোবায়েদের ভাইকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান। সৈতক তার শ্যালক শরীফ মোহাম্মদকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল রৌশান ভিলায় পৌঁছান। সৈকত ঘটনাস্থলে গিয়ে তার পরিচিত বড় ভাই অ্যাড ইশতিয়াক হোসাইন জিপু তাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল রৌশান ভিলা ভবনের নিচতলা থেকে ওপরে উঠার সময় সিঁড়ি এবং দেয়ালে রক্তের দাগ দেখতে পান। ভবনের তৃতীয় তলার রুমের পূর্ব পাশে সিঁড়িতে নিয়ে গেলে জুবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উপুড় অবস্থায় দেখতে পান।

‎সুরতহাল প্রস্তুত করার সময় তার গলার ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনের নিকট হতে জেনে এবং আশপাশ এলাকার সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে উল্লিখিত আসামিসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার ডান পাশে আঘাত করে হত্যা করেছে বলে বাদী নিশ্চিত হন।

‎উল্লেখ্য, এক বছর ধরে বাসায় গিয়ে বর্ষাকে ফিজিক্স, ক্যামিস্ট্রি ও বায়োলজি পড়াতেন জুবায়েদ। বর্ষার বাবার নাম গিয়াসউদ্দিন। অন্যদিকে জুবায়েদ কুমিল্লার হোমনার কৃষ্ণপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে।

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এই শিক্ষার্থীকে সোমবার রাতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

মন্তব্য (০)





image

প্রশাসনে রদবদল নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

নিউজ ডেস্ক : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ভোটে শান্তি-শৃঙ্খ...

image

নির্বাচন নিরপেক্ষ করার জন্য যা দরকার করব, বিএনপিকে প্রধান...

নিউজ ডেস্ক : আগামী ফেব্রুয়ারিতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সরকারের প্রস্তুতি ...

image

জেলেরা কিভাবে লাভবান হবেন, জানালেন উপদেষ্টা

নিউজ ডেস্ক : দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষার জন্য মা মাছ ধরা বন্ধের আহ্বান জানি...

image

ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি বাতিলের তথ্য সঠিক নয়: পররাষ্ট্র উপ...

নিউজ ডেস্ক : ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিল করা হয়েছে বলে যে তালিকা সামা...

image

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন বিএনপির তিন নেতা

নিউজ ডেস্ক : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ...

  • company_logo