• আন্তর্জাতিক

‎এখনই অস্ত্র ত্যাগ করতে রাজি নয় হামাস

  • আন্তর্জাতিক

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এখনই অস্ত্র ত্যাগ করতে রাজি নয় বলে জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য মোহাম্মদ নাজ্জাল। দোহায় বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তাদের মূল লক্ষ্য গাজা পুনর্গঠন করা।

‎হামাস নেতা বলেন, তারা গাজায় একটি অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে চায় এবং নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে পারছে না।

‎হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য নাজ্জাল বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনের জন্য পাঁচ বছরের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধবিরতিতে রাজি। তবে এরপর কী হবে, সে বিষয়ে নিশ্চয়তা নির্ভর করছে ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আশা ও দিগন্ত’ দেখানোর ওপর।

‎সম্প্রতি গাজায় প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নাজ্জাল বলেন, সম্প্রতি প্রকাশ্যে যেসব মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ঘটেছে সেগুলো যুদ্ধকালীন ‘ব্যতিক্রমী ঘটনা’। তার দাবি, নিহতরা হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ছিলেন।

‎তিনি আরও জানান, হামাস বন্দি বিনিময়, যুদ্ধবিরতি ও গাজায় ত্রাণ প্রবেশে সম্মতি দিয়েছে, কিন্তু অস্ত্র হস্তান্তর সংক্রান্ত ধারা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। আলোচনা সাপেক্ষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

‎অন্তর্বর্তী সময়ে গাজায় প্রযুক্তিনির্ভর বেসামরিক প্রশাসন থাকলেও নিরাপত্তার জন্য হামাস মাঠে উপস্থিত থাকবে বলে জানান নাজ্জাল।

‎এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই যে আপনি নিরস্ত্রীকরণের কথা বলছেন, তার মানে কী? অস্ত্রগুলো কাকে, কেন হস্তান্তর করা হবে? ইসরাইল কি তার পারমাণবিক অস্ত্রগুলো জমা দেবে? কেন ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংসের কথা বলা হয়, অথচ ইসরাইলকে তা বলা হয় না।

‎এদিকে রোববার নাগাদ রাফা সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। চুক্তির প্রথম ধাপ অনুযায়ী এটি গত বুধবার খোলার কথা ছিল, কিন্তু হামাসের দেরিতে মরদেহ হস্তান্তরের কারণে তা স্থগিত হয়।

‎এরমধ্যেই, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি পুনর্গঠন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা। যার আনুমানিক ব্যয় ৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই প্রকল্পে ১৮টি খাতের ৫৬টি উপ-প্রোগ্রাম অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যার মধ্যে রয়েছে আবাসন, সামাজিক সেবা ও অবকাঠামো।

‎মুস্তাফা বলেন, প্রথম ধাপে ছয় মাসের জরুরি পুনরুদ্ধার, দ্বিতীয় ধাপে তিন বছরের পুনর্গঠন এবং তৃতীয় ধাপে দীর্ঘমেয়াদি পুনর্গঠন কার্যক্রম চলবে।

মন্তব্য (০)





  • company_logo