• জাতীয়

রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ প্রক্রিয়া নিয়ে জুলাই সনদে যা আছে

  • জাতীয়

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ বহু কাঙ্ক্ষিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর সমন্বিত খসড়া চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সনদের যেসব সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য, সেগুলো আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হবে।

‎খসড়ার অঙ্গীকারে জুলাই সনদকে সর্বোচ্চ আইনি ভিত্তি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর প্রতিটি বিধান, প্রস্তাব ও সুপারিশ সাংবিধানিক ও আইনগতভাবে বলবৎ হিসাবে গণ্য হবে। ফলে এর বৈধতা, প্রয়োজনীয়তা, কিংবা জারির কর্তৃত্ব সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না। সনদের কোনো বিধান, প্রস্তাব বা সুপারিশের ব্যাখ্যাসংক্রান্ত যে কোনো প্রশ্নের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকবে।

‎সনদের কপি শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। দলগুলোকে ২০ আগস্ট বুধবার বিকাল ৪টার মধ্যে মতামত জানাতে বলা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের আলোকে এটি চূড়ান্ত হবে।

‎খসড়ায় রাষ্ট্রপতির অভিশংসন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে––‘রাষ্ট্রদ্রোহ, গুরুতর অসদাচরণ বা সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন করা যাইবে।

‎আইনসভার নিম্নকক্ষে অভিশংসন প্রস্তাবটি দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে পাস করিবার পর তা উচ্চকক্ষে প্রেরণ এবং উচ্চকক্ষে শুনানির মাধ্যমে দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থনে অভিশংসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হইবে।’ এ প্রস্তাবে ২৮টি দল ও জোট একমত হয়েছে।

‎সনদে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতার জায়গায় বলা হয়েছে, ‘কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত যে কোনো দণ্ডের মার্জনা, বিরাম মঞ্জুর করার এবং যে কোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত মানদণ্ড, নীতি ও পদ্ধতি অনুসরণক্রমে উক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করা হবে। সংশ্লিষ্ট আইনে এরূপ বিধান রাখা হবে যে, এরূপ কোনো আবেদন বিবেচনার পূর্বে মামলার বাদী বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির পরিবারের সম্মতি গ্রহণ করা হবে।’ এই প্রস্তাবে ২৯টি দল ও জোট একমত হয়েছে।

‎রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ‘সংবিধানে এরূপ যুক্ত করা হবে যে বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রপতি থাকবেন, যিনি আইন অনুযায়ী আইনসভার উভয় কক্ষের (নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ) সদস্যদের গোপন ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হবেন। রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হওয়ার সময় কোনো ব্যক্তি কোনো রাষ্ট্রীয়, সরকারি বা রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের পদে থাকতে পারবেন না।’

‎রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনতে এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৮ (৩) সংশোধনীর প্রস্তাব করে কারো পরামর্শ বা সুপারিশ ছাড়াই নিজ এখতিয়ার বলে রাষ্ট্রপতি নিম্নলিখিত পদে নিয়োগ দিতে পারবেন—

‎১. জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ।

‎২. তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ।

‎৩. বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ।

‎৪. আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ।

‎৫. বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ।

‎এই প্রস্তাবে ৩১টি দল ও জোট একমত হয়েছে। নোট অব ডিসেন্ট— প্রস্তাবিত ৫ ও ৬ নৌ ক্রমিকের বিষয় বিএনপি, এনডিএম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ১২ দলীয় জোট, এলডিপি।

মন্তব্য (০)





image

বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ফিলিস্তিনি রাষ...

নিউজ ডেস্ক : ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রমাদান বা...

image

প্রশাসনিক পদে বড় রদবদল

নিউজ ডেস্ক : প্রশাসনিক পদে বড় রদবদল করেছে সরকার। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর...

image

পাচারের অর্থে বিদেশে গড়া ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির স...

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গড়া প্রায...

image

চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

নিউজ ডেস্ক : আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ভারতের উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ উ...

image

এনটিআরসিএ: সুপারিশ পাচ্ছেন ৪১ হাজারের বেশি প্রার্থী

নিউজ ডেস্ক : বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের ৬ষ...

  • company_logo