এবার আন্দোলনকারীদের যে নির্দেশনা দিলেন ইশরাক

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের বাদে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতার বিরুদ্ধে যত ক্ষোভ থাকুক না কেন, তাদের অসম্মান হয় এ রকম কিছু করা থেকে শতভাগ বিরত থাকার কথা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। মঙ্গলবার (২০ মে) ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে এ কথা জানান।

ফেসবুকে ইশরাক হোসেন লিখেন, আমি আন্দোলনরত ঢাকা দক্ষিণ সিটির জনগণ ও ভোটারদের বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের বাদে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতার বিরুদ্ধে যত ক্ষোভ থাকুক না কেন, আমরা তাদের অসম্মান হয় এ রকম কিছু করা থেকে শতভাগ বিরত থাকি। আমরা সমালোচনা করি, রাজনৈতিক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তাদেরকে সতর্ক করি, তাদের ভুল ধরিয়ে দেই কিন্তু অবশ্যই ভাষাগত শিষ্টাচার মেনে।

ইশরাক হোসেন আরও লিখেন, অনেক তো দেখে আসছি আর পেছনের দিকে দেশটাকে নিতে চাই না। অবশ্যই আমরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করব, দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেব, নির্বাচনী স্পষ্ট রোডম্যাপ আদায়ের মাধ্যমে আমাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য পদক্ষেপ নেব। এমনকি বর্তমানে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের পদত্যাগে কঠোর গণতান্ত্রিক আন্দোলনও করব। কিন্তু ভাষা ও ব্যবহার যাতে শত্রুও সমালোচনা করতে না পারে।

এদিকে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণার দাবিতে আজও নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তার সমর্থকরা। মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল থেকেই বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। বিকেল ৫টা পর্যন্ত অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছেন তারা। 

অপরদিকে টানা ছয়দিন ইশরাকের সমর্থকদের আন্দোলনের কারণে নগর ভবনের প্রশাসনিক কার্যক্রম আজও বন্ধ রয়েছে। নগর ভবনে থাকা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমও বন্ধ। আন্দোলনের কারণে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গত ছয়দিন ধরে অফিস করছেন না বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি পেয়ে ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় নির্বাচন কমিশন।