লাইফস্টাইল ডেস্কঃ মানুষের শরীরে যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম লিভার। এই অঙ্গটি খারাপ হলেই মুশকিল। সেক্ষেত্রে পিছু নিতে পারে একাধিক জটিল অসুখ। তাই চেষ্টা করুন যেভাবেই হোক লিভার ডিজিজ প্রতিরোধ করার। এবার প্রশ্ন হলো, ঠিক কোন কোন নিয়ম মেনে চললে এড়িয়ে যেতে পারবেন লিভারের অসুখের ফাঁদ? কয়েকটি সহজ নিয়ম মেনে চললেই অনায়াসে লিভারের অসুখের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে পারবেন। তাই আর সময় নষ্ট না করে সেই সব নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। তারপর অক্ষরে অক্ষরে এসব নিয়ম মেনে চলুন। ব্যস, এই কাজটা করলেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।
১. ওজন কমান
মনে রাখবেন, ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকলেই বিপদ! সেক্ষেত্রে একাধিক জটিল অসুখ নিতে পারে শরীরের পিছু। আর এই তালিকায় লিভার জিজিজও রয়েছে। তাই আজ থেকেই ঝটপট ওজন কমানোর কাজে লেগে পড়ুন। আর এই কাজে সাফল্য পেতে চাইলে সবার প্রথমে আপনাকে বাইরের ফাস্টফুড খাওয়া ছাড়তে হবে। তার বদলে ডায়েটে জায়গা করে দিতে পারেন বাড়ির তৈরি হালকা খাবার। এর পাশাপাশি প্রতিদিন এক্সারসাইজ হলো মাস্ট। আশা করছি, এভাবে নিজের রুটিন বলদে নিলেই আপনার ওজন কমবে তরতরিয়ে।
২. মদ্যপান চলবে না
মদ হল সর্বনাশা। এই পানীয়ে চুমুক দিলে শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল বিগড়ে যেতে পারে। বিশেষত, লিভারের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। বিপদে ফেলতে পারে অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। তাই চেষ্টা করুন মদ্যপান যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার। তার বদলে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জলপান করুন। তাতে লিভারে জমে থাকা টক্সিন শরীরের বাইরে চলে আসবে। আপনাকে আর বিপদের ফাঁদে পড়ে কষ্ট পেতে হবে না। তাই আজ থেকেই এই নিয়মটা মেনে চলুন।
৩. ফাস্টফুড বাদ
আজকাল অনেকেই ফাস্টফুডের প্রেমে পাগল। নইলে তাদের দিন কাটতে চায় না। সব থেকেও কিছু একটা না থাকার বেদনা তাদের মাথায় চেপে বসে থাকে। তবে মনে রাখবেন, এই ধরনের খাবার শরীরের জন্য একবারেই উপাদেয় নয়। এই ধরনের খাবার নিয়মিত খেলে পিছু নিতে পারে একাধিক জটিল অসুখ। বিশেষত, লিভার পড়তে পারে বিপদে। তাই চেষ্টা করুন যেভাবেই হোক ফাস্টফুড এড়িয়ে চলার। তাতেই যকৃতকে সুস্থ-সবল রাখার কাজে এগিয়ে যাবেন।
৪. ব্যায়াম করা মাস্ট
অলস জীবন হলো রোগের বাসা। এর ফলে শরীরে হানা দিতে পারে একাধিক জটিল অসুখ। তাই আজ থেকেই অলস জীবন কাটানোর অভ্যাস ছেড়ে দিন। তার পরিবর্তে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এক্ষেত্রে জিমে গেলেই মিলবে বেশি উপকার। তবে জিমে না যেতে চাইলে বাড়িতেই ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন। আর ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজেও অনীহা থাকলে শুধু হাঁটুন। আশা করছি, এই নিয়মটা মেনে চললেই আপনার সুস্থ থাকার পথে আর কোনও বাধা থাকবে না।
নিয়মিত চেক আপ জরুরি
যকৃতের স্বাস্থ্য ঠিকঠাক রয়েছে কিনা তা বোঝার জন্য শুধুমাত্র একটা লিভার ফাংশন টেস্ট বা এলএফটি করে নিন। তাতে যদি লিভার এনজাইমগুলির মাত্রা স্বাভাবিক থাকে, তাহলে চিন্তার কিছু নেই। তবে লিভার এনজাইমের মাত্রা বিগড়ে গেলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তিনি যদি আরও কিছু টেস্ট করতে বলেন, সেগুলোও করে নেওয়া জরুরি। তারপর শুরু হবে চিকিৎসা। আপনি দ্রুত সেরে উঠতে পারবেন।
মন্তব্য (০)