• সমগ্র বাংলা

দুর্ঘটনার সাত মাস পর আসামি শনাক্ত করে গ্রেফতার 

  • সমগ্র বাংলা
  • ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১৮:৩৫:৪৩

ছবিঃ সিএনআই

নীলফামারী প্রতিনিধি: সন্তান সম্ভাব্য এক মহিলা কে মাইক্রো বাস চাপা দিয়ে হত্যার সাত মাস পর আসামিকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করেছে নীলফামারী সদর থানা পুলিশ।  ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত বছরের ২ জুলাই রাত সাড়ে বারো টায়, সন্তান সম্ভাব্য শারমিন বেগম(২৫) মা ও মেয়েসহ তার বাবার বাড়ী ডোমার থানা হতে সিএনজি যোগে স্বামীর বাড়ী সৈয়দপুরে  যাওয়ার পথে নীলফামারী সদর থানার সংঘলসী ইউনিয়নের শিমুলতলী নামক স্থানে পিছন থেকে ঘাতক মাইক্রোবাসটি বেপরোয়াভাবে ধাক্কা দিলে শারমিন বেগম মহাসড়কের উপর পড়ে যায় এবং বেপরোয়া মাইক্রো বাসটির নিচে শারমিনের কাপড় পেঁচিয়ে যায়। ঘাতক মাইক্রোবাস চালক গাড়ি না থামিয়েই সামনে চলতে থাকে। মাইক্রোটি মহাসড়কের উপর প্রায় দুই কিলোমিটার শারমিন কে হেঁচড়ে নিয়ে যায় এবং  পোরারহাট মহাসড়কের উপরেই সন্তান প্রসব হয়। 

টহলরত সৈয়দপুর থানা পুলিশ শারমিন বেগম ও তার নবজাতক শিশুকে সৈয়দপুর কুন্দুল হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত ডাক্তার মা ও তার সন্তানকে মৃত ঘোষণা করেন। জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ কলে নীলফামারি থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নীলফামারী থানায় একটি নিয়মিত মামলার রুজু হয়। দীর্ঘ তদন্তের পরে নীলফামারী থানা পুলিশ ঘাতক মাইক্রোবাস চালককে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। গত ২২ ফেব্রুয়ারী রাত সোয়া দশটায় সৈয়দপুর থানাধীন কাজীপাড়া নামক স্থান থেকে আসামি মো, সোহেল রানা (৩২) কে গ্রেফতার করে। সে নীলফামারী সদর থানার বেড়াকুটি গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারী দুপুরে আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হলে, আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এবিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo