• বিশেষ প্রতিবেদন

বর্ষালি ধানের ফলনে খুশি গাইবান্ধার কৃষক

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ০৮ আগস্ট, ২০২৩ ১৮:০৭:০১

ছবিঃ সিএনআই

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : দিগন্ত জুড়ে দুলছে আউশ (বর্ষালী) ধানের ক্ষেত।বোরো ও আমন ধানের মাঝামাঝি সময়ে এই ধান চাষ করা হয়। স্বল্প খরচ এবং বন্যা ও খরার ঝুঁকি কম থাকায় আউশ ধানের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ দিনদিন বাড়ছে।সাধারণত  উচু জমিতে ইরি ধান কাটার সাথে সাথে আউশ (বর্ষালী) জাতের ধানের বীজ বপন করা হয়। প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই বোপনকৃত বীজ জমিতে রোপন করার উপযোগী হয়ে ওঠে। ইরি-বোরো ধান ঘরে তোলার পর বৈরি আবহাওয়ায়ও কৃষকরা জমি পতিত রাখতে নারাজ। তাই বর্ষা নামার আগেই তরিঘরি করে জমিতে পাওয়ার ট্রিলার দিয়ে চাষ করে রোপন করেন চারা।

স্বল্প খরচে বিঘা প্রতি এই ধানটি ১৪-১৫ মণ করে হয়। সরেজমিনে জেলার সাত উপজেলা দেখা যায়,অনেক জায়গায় বর্ষালী ধান কেটে ফসল ঘরে তুলেছেন কৃষক। আবার অনেক জায়গায় কাঁচা - পাঁকা ধান দুলছে ফসলের মাঠে। সদর উপজেলা লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বর্ষালী ধান চাষী শামসুল আলম বলেন,বর্ষালী ধান চাষ করতে সার,তেল,কামলা খরচ কম লাগে। তাছাড়া গবাদি পশুর খড়ের চাহিদাও পূরণ হয়। তিনি আরও বলেন, আমার ২ বিঘা জমিতে খরচ ৩ হাজার টাকা হয়েছে কিন্তু আমি ২ বিঘা জমিতে ধান পাবো ৩০ মণ। সাদুলাপুর উপজেলার  কৃষক জব্বার বলেন, এবারে বর্ষালি ধান আবাদের জন্য উপযোগী।

আমি ১ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। তিনি আরও বলেন গত মওসুমেও বর্ষালি ধান চাষাবাদ করে ভাল ফলন পাওয়া গেছে।  প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ১৫ থেকে মন হারে ধানের ফলন পাওয়া গেছে। গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ  অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো  খোরশেদ আলম বলেন,এবার জেলায় ১৪ হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমিতে আউশ(বর্ষালী) ধান চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩২ শতাংশ ধান কাটা মাড়াই হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই ধান চাষের ফলে অনেক কৃষক  অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হয়েছে। এমনকি আমরা ধান চাষের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কৃষকদের সবরকম সহযোগীতা করে এসেছি।

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo