• বিশেষ প্রতিবেদন

কালিয়াকৈরে বংশী নদী বেদখলে আজ মৃত প্রায়

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১৫:৩৪:২৮

ছবিঃ সিএনআই

কালিয়াকৈর প্রতিনিধিঃ   গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বংশী নদী দখল করে অবৈধ ভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে আধাপাকা, পাকা ঘর-বাড়ি ও ইটভাটাসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দখলের কারণে আজ অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলছে ঐতিহ্যবাহী বংশী নদী। অনুসন্ধানে দেখা যায়, বংশী নদীর কালিয়াকৈর অংশের ১৫ কি. মি. গতিপথের প্রায় ১০ কিলোমিটারই নাব্যতা হারিয়ে কৃষি খেতে পরিণত হয়েছে। দুই দশক পূর্বেও কালিয়াকৈর থেকে ধামরাই ত্রিমোহনা পর্যন্ত নদী পথের দুধারে শতাধিক সেচ প্রকল্প চালু ছিল। নদীটির পানি প্রবাহ বন্ধ হওয়ায় বর্তমানে ঐ প্রকল্পগুলোর ৮০টিরও বেশি প্রকল্পের প্রায় ৫০ হাজার বিঘা ইরি জমিতে সেচ সুবিধা বন্ধ হয়ে গেছে। বংশী নদীর ১৫ কিলোমিটার গতিপথের শতকরা ৫০ ভাগ জমিই এখন বেদখল হয়ে পড়েছে।

বেশির ভাগ জায়গাতেই পাকা ও আধা পাকা বাড়িঘর তুলে গ্রাম বা আবাস ভূমি তৈরি করা হয়েছে। এমনকি নদী দখল করে কেউ ইটভাটা স্থাপন, আবার কেউ নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে। সরকারিভাবে কাউকে লিজ দেওয়া না হলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা বংশী নদীর হাজার হাজার বিঘা জমি দখল করে চাষাবাদ করছে। বংশী নদীর চরাঞ্চল ও তীর মেপে পিলার বসিয়ে জবর দখলকৃত জমি সরকারি দখলে নিয়ে নদীটি খনন করার জন্য এলাকাবাসী দাবি জানিয়েছে। নদীটি খনন করা হলে বার মাস এই নদী পথে মালামাল সংক্ষিপ্ত সময়ে রাজধানীসহ দেশের অন্য অঞ্চলে প্রেরণ ও আনয়ন সহজতর হবে।

এছাড়া এর শতাধিক সেচ প্রকল্পভুক্ত জমি পুনরায় চাষের আওতায় আসতে পারবে এবং ফসল ও মাছ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে উপজেলার সূত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি মো. বজলুর রহমান জানান। উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আকতারুজ্জামান বলেন, জবর দখলের কারণে ঐতিহ্যবাহী বংশী নদী আজ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। তিনি বংশী নদীর জমি থেকে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও নদীটি পুনঃখননের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম বলেন, সরেজমিনে তদন্ত করে বংশী নদী থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ ও বংশী নদী পুনঃখননের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo