• অর্থনীতি

চলনবিলে বিনাহালে রসুন আবাদ, বাম্পার ফলনের আশায় কৃষক

  • অর্থনীতি
  • ২০ জানুয়ারী, ২০২১ ১১:৫৪:৩০

ছবিঃ সিএনআই

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : বিনাহালে রসুন আবাদকারী অঞ্চল ষস্য ভান্ডার বলে খ্যাত চলনবিল। এবারও এ অঞ্চলের কৃষক ব্যাপকহারে রসুনের আবাদ করেছে। বিগত বছরগুলোতে চাষীরা নিজেদের উদ্ভাবিত বিনাহালে রসুন চাষ পদ্ধতিতে ব্যাপক সফলতা পাওয়ায় এবং উৎপাদিক রসুনের দাম ভালো পাওয়ায় তারা রসুন চাষে ঝুঁকে পড়েন। সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এবং অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এবারও রসুনর বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষক ও কৃষি বিভাগ।

চলনবিল অধ্যুষিত চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া,বড়াইগ্রাম,গুরুদাসপুর ও তাড়াশ উপজেলায় ব্যাপকহারে বিনাহালে রসুনের আবাদ হয়েছে। চাটমোহর উপজেলাতেই এবার ৬ হাজার ২ শত হেক্টর জমিতে বিনাহালে রসুনের আবাদ হয়েছে। চলনবিল অঞ্চলে ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ হয়েছে। কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে কৃষক রসুনে লাভবান হবেন। ইতোমধ্যে মাঠে মাঠে রসুনের সবুজ গাছ শোভা পাচ্ছে। উপজেলার দাঁথিয়া কয়রাপাড়া গ্রামের কৃষক ইজাবত আলী,ধানকুনিয়ার কৃষক আঃ গণি,বোঁথর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলামসহ অন্যরা জানান,প্রতিবিঘা রসুন আবাদে ২৫/২৬ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলন ভালো হলে প্রতিবিঘা জমিতে ৩০/৩২ মণ রসুন উৎপাদন হবে। মৌসুমের শুরুতে রসুনের দাম কম থাকলেও পরবর্তীতে দাম বাড়ে। ২ থেকে ৩ হাজার টাকা মণ রসুন বিক্রি হয়। এতে বিঘাপ্রতি সব খরচ বাদে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ থাকে। যা অন্য ফসলের চেয়ে অনেক বেশী।

চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুমবিল্লাহ দৈনিক তৃতীয় মাত্রাকে বলেন,চলনবিল অঞ্চলের কৃষকের প্রধান অর্থকারী ফসল এখন রসুন। আবাদ ভালো হয়েছে,আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও রসুনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন তিনি। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo