• অপরাধ ও দুর্নীতি

রংপুরে শিশু ধর্ষণের পর হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ০১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৫:৪৫:৩৪

ছবিঃ সিএনআই

নজরুল ইসলাম রাজু রংপুর ব্যুরো: রংপুরে সাড়ে চার বছর পর প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় রিয়াদ প্রধান নামের এক যুবকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন নারী শিশু ও দমন নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক।এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ধলি বেগম নামের এক নারীকে খালাস দিয়েছে আদালত। 

রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতের -৩ এর বিচারক মোস্তফা পাভেল রায়হান মঙ্গলবার(১ ডিসেম্বর)দুপুরে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এই আদেশ দেন।রায়ে বলা হয়,২০১৬ সালের ১৪ জুন উপজেলার দুরামিঠিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী চুমকিকে বিকেলে আম দেয়ার কথা বলে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষনের পর হত্যা করে মরদেহ নিজ খাটের নীচে পুতে রাখে পাশের বাড়ির মমিন প্রধানের পুত্র রিয়াদ প্রধান।

রংপুরের পীরগঞ্জের রামনাথপুরের চাঞ্ছল্যকর প্রথম শ্রেণির ছাত্রী তানজিলা ইয়াসমিন চুমকিকে ধর্ষনের পর হত্যা করে মরদেহ খাটের নীচে পুতে রাখার মামলায় অভিযুক্ত যুবক রিয়াদ প্রধানকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।অপর আসামি ধলি বেগমকে খালাসের আদেশ দিয়েছে। ধর্ষণ ও হত্যার সহযোগিতা করে তার  বাড়ির কাজের মেয়ে ধলি বেগম মাই। ঘটনার ৪ দিন পর ১৭ জুন খাটের নীচ থেকে চুমকির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।এ ঘটনায় চুমকির বাবা শাহজাহান আলী বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন।

২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর পুলিশ আদালতে চার্জশিট দেয় এবং আদালত ২০১৭ সালেল ৩০ নভেম্বর চার্জ গঠন করেন।দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর ১৯জন স্বাক্ষীর শুনানী শেষে আদালত রায় প্রদান করেন।রায়ে রিয়াদ প্রধানকে মৃত্যদন্ডাদেশ ও ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং ধলি বেগমকে খালাস প্রদান করা হয়।রিয়াদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর এবং ধলি মাইয়ের বিষয়ে আপিল করার কথা জানিয়েছেন চুমকির বাবা মা।

মামলা ও আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান,রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের দিনমজুর ও দুধ বিক্রেতা শাজাহান আলীর মেয়ে তানজিলা খাতুন চুমকি দুরামিঠিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। ঘটনার দিন ২০১৬ সালের ১৪ জুন বিকেলে বাড়ির পাশে খেলছিল শিশু মেয়ে চুমকি। এ সময় প্রতিবেশী মমিন প্রধানের ছেলে রিয়াদ প্রধান(২৫) আম খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিশুটিকে নিজ বাড়িতে রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে।

এ সময় শিশুটি চিৎকার দিলে ধরা পড়ার ভয়ে আসামি রিয়াদ প্রধান তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বাড়ির গৃহকর্মী ধলি বেগমের (৫৫) সহায়তায় সিমেন্টের বস্তায় ভরে বাড়ির রুমের খাটের নিচে মাটিতে পুঁতে রাখেন। এদিকে সন্ধ্যা শিশুটির বাবা-মা মেয়ে বাড়িতে না আসায় চিন্তায় পরে এক পর্যায়ে খুজতে থাকে। সন্তানের খোঁজে ওই দিন রাত থেকে এলাকায় মাইকিং করেন বাবা শাজাহান আলী। এক পর্যায়ে ১৬ সালের ১৭ জুন সকালে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই রিয়াদের বাড়ির খাটের নিচ থেকে চুমকির মরদেহ উদ্ধারসহ আসামি রিয়াদকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনার পর পালিয়ে যান ধলি বেগম।হত্যার বেশ কিছুদিন পর ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আসামি পক্ষের আইনজীবি কাজী মাহফুজুল ইসলাম জানান,এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তারা। এ ঘটনার সাথে ও নিহতের সঠিক প্রমান আদালতে দাখিল করতে পারেননি রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবি। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাওছার আলী সন্তোষ প্রকাশ করে রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।তিনি আরও বলেন.র্দীঘ সাড়ে ৪বছর এ মামলার রায় প্রদান করা হয়েছে।তবে একজন আসামীকে আদালত খালাস প্রদান করা তারা উচ্চ আদালতে আপিল করার কথাও বলেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo