• সমগ্র বাংলা

গাইবান্ধায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন

  • সমগ্র বাংলা
  • ২৫ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:৫৫:৪৩

প্রতীকী ছবি

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনের রাস্তা থেকে নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ মামলায় মারুফুল ইসলাম (২৯) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে অপহরণের অভিযোগে ১৪ বছর কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়। মামলায় বাকি তিন আসামিকে খালাস দেয় আদালত। কারাদন্ড প্রাপ্ত মারুফুল ইসলাম গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের প্রয়াত বজলুর রহমানের ছেলে।

আজ বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক কাজী মুরাদে মওলা (জেলা জজ আদালত) এ রায় দেন। মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি গাইবান্ধা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের গেটের সামন থেকে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিয়ে যায় মারুফুল। সে সময় ওই ছাত্রীকে ঘরে আটকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি। অপহরণের দুই দিন পর ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ওই দিন পুলিশ মির্জাপুরে অভিযান চালিয়ে মারুফুলকে গ্রেপ্তার ও স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় মুখ লজ্জায় আতœহত্যার পথ বেছে নেয় স্কুলছাত্রটি।

মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাঙ্গাহীর হোসেন জানান, এ মামলায় মারুফুল হাইকোর্ট থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। দুপুরে রায়ের দিন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন মারুফুল। দীর্ঘ শুনানি ও স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষ্য প্রমানে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেন। আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিউকিটর (এপিপি) মহিবুল হক সরকার মোহন জানান, রায় ঘোষণার পর আসামি মারুফুল ইসলামকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিউকিটর (এপিপি) মোছা. শিউলী বেগম।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo