• শিক্ষা

বৈশ্বিক মহামারী করোনার মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা চলছে: ডা. দীপু মনি

  • শিক্ষা
  • ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১০:৪৫:১৪

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ছাত্রছাত্রীদের অনলাইনে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে অভিভাবক ও শিক্ষকরা যথেষ্ট ভূমিকা রাখছেন। করোনা পরিস্থিতি থাকাকালীন সামনের দিনগুলোতেও অনলাইনে লেখাপড়া অব্যাহত রাখতে অভিভাবকদের ভূমিকা অপরিসীম। শিক্ষার্থীদের শুধু ভালো ফল নয় ভালো মানুষ হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) উদ্যোগে বুধবার ‘বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা : বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা ও কৃতী শিক্ষার্থী সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, যুগান্তর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম এবং নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (বিওটি) চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এমএ কাসেম।

শিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সরকার শিক্ষার গুণগত মানবৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্লাসের সিলেবাস তৈরি করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরীক্ষা নিয়ে গুজব রটানো হচ্ছে। এতে কান না দেয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী যথাসময়ে অভিভাবকদের সব জানানো হবে।

যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, করোনাকালে শিক্ষায় ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার এবং অনলাইন ও টেলিভিশন-বেতার মাধ্যমে পাঠদানের পদক্ষেপ গ্রহণ সরকারের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। করোনা পরবর্তীকালেও হয়তো আগের মতো আর বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম চালানো সম্ভব হবে না। আবাসিক হলে আর গণরুম রাখা যাবে না। পাঠ ও গবেষণার পাশাপাশি ক্যাম্পাস ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে হবে। বিশেষ করে সনাতনী ব্যবস্থার পাঠদান আর শতভাগ সম্ভব হবে না। তাই করোনা পরবর্তীকালেও শিক্ষা ও ক্লাস কার্যক্রমের একটি অংশ অনলাইনে চালু রাখা যেতে পারে। মোট কথা হচ্ছে, করোনা পরবর্তীকালের ‘নতুন স্বাভাবিক’ সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে পরিচালিত হবে সেজন্য এখনই পরিকল্পনা করা দরকার। তিনি ছাত্রছাত্রীদের আদর্শ ও সুনাগরিক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, সাফল্যের কোনো সংক্ষিপ্ত পথ নেই। এ ছোট বয়সে যে সম্মাননা গ্রহণ করেছ সেটা আমরা পাইনি। তাই এ সাফল্যের ধারা আগামী দিনেও অব্যাহত রাখতে হবে। সাফল্যের জন্য অধ্যাবসায়ের কোনো বিকল্প নেই।

নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির বিওটি চেয়ারম্যান এমএ কাসেম বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে রাখা যাচ্ছে না। কিন্তু একজন শিক্ষার্থী যদি এভাবে বেশিদিন পাঠগ্রহণ থেকে দূরে থাকে তাহলে তা মেধা বিকাশে বাধা হয়ে যাবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের অনলাইন শিক্ষায় উৎসাহিত করতে হবে। শিক্ষায় গতি ফিরিয়ে আনতে হবে।

এমএ কাসেম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রযুক্তির ব্যবহার করে আমরা মার্চ থেকে অনলাইনে আমাদের ক্লাস চালু রেখেছি। তিনি সরকারের শিক্ষা খাতে ডিজিটাল পদ্ধতি গ্রহণের প্রশংসা করেন ও কিভাবে জাতি এর সুফল ভোগ করছি তার উপর আলোকপাত করেন। পাশাপাশি বলেন, যে কোনো ব্যবস্থায় চ্যালেঞ্জ থাকতেই পারে। তাই এ নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ থাকলে সেটা উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন, তোমাদের মনের জোর রাখতে হবে, মনোবল হারালে চলবে না, নিজেদের এবং পরিবারের যত্ন নিতে হবে এবং নিজের কাজ ভালোভাবে করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ। বক্তৃতা করেন ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী, সাবেক অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ, কল্যাণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক জামিল আহমেদ। এতে সদস্যদের এসএসসি, জেএসসি ও পিইসি উত্তীর্ণ কৃতী ৮২ সন্তানকে সম্মাননা দেয়া হয়। এদের মধ্যে পিইসি উত্তীর্ণ ৫৩ জন, জেএসসি উত্তীর্ণ ১৬ জন এবং এসএসসি উত্তীর্ণ ২৩ জন। এ কার্যক্রমে সহায়তা করেছে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। অনুষ্ঠানে সিনিয়র সাংবাদিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo