• মুক্তমত

খাবার চাই না, জানাজা চাই

  • মুক্তমত
  • ০৪ এপ্রিল, ২০২০ ১২:১৪:০৪

সিএনআই ডেস্কঃ আমি ডাক্তার না।তাই হয়ত এই লেখা পড়বেন না।এখানে করোনার কোন ঔষধ বা টিকা র আবিষ্কার কাহিনী বা নাম লেখা নেই।কিন্তু আপনার আমার সর্বশেষ ও সর্বনিম্ন যে চাহিদা তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ।বাসায় থাকার সময়টাতে আপনার মর্জি
চীন, ইটালিয়ান,ইরান,যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মৃত্যু র উপত্যকায় পরিনত।বৈজ্ঞান এ ই সময় পুরো ই ব্যর্থ ।পদার্থ গুলো অপদার্থ হয়ে গেছে।নিজেরা ভয়ে বাপ দাদা স্ত্রী পুত্র রেখে সুড়ঙ্গে প্রবেশ করেছে।
যুগে যুগে বসে বসে রিসার্চ করে ভাইরাস করোনার কাছে সামান্য করুনা পাচ্ছে না।বিধি বাম বাঁচানোর জন্য চাই টিকা ঔষধ ।দুই দিনে চিড়া মুড়ি আর ফেসবুক এ বাজারে র ঘোষণা তো আর চিরদিন চলবে না।তাই মৃত্যু যেখানে বেশী অগ্রন্ন সেখানে মৃত্যু মুল চাহিদা ও কি এই উন্নত বৈজ্ঞানিক বিশ্ব দিতে পারবে না?
ইসলাম ধর্মে জানাজা গুরুত্বপূর্ণ।সকল ধর্মে সৎকারের বিধান আছে।ভাইরাস জীব ও জড় যোগসূত্র।মৃত কোষে এর বৃদ্ধি ও বাস কম।তাছাড়া করোনা মৃত মানুষ থেকে ছড়ায় না।বাতাসের চেয়ে ভারী।স্পর্শ ছাড়া সংক্রামক হয় না।
তাছাড়া মৃত মানুষ কে সার্জিক্যাল পদ্ধতিতে।সুন্দর করে গোসল করিয়ে কাফনের কাপড় দেওয়ার পর অন্য কোন আবরন দেওয়া যেতে পারে।বিজ্ঞানের যোগে মেডিকেল সংশ্লিষ্ট লোকজন করতে পারবে।ধর্ম  দিয়ে বিশ্ব জয় করে যদি ধর্মের নিয়ম রক্ষা করতে কংসের ভুত ধরে তাহলে তো সবই অলীক ।
জীবিত রাখতে তিন টাকার খাবার দিয়ে ফেসবুক এ ছবি দেই।মারা গেলে দোয়া চাই ।তিন হাজার মাইল থেকে ছুটে এসে তিন তালা বাড়ী দখল করি।অথচ করুনায় মারা গেলে তিন ফুট কেন তিনশ ফুট দুরে থেকেও জানাজা করতে পারি না।
ক্ষুধার্ত মানুষ খাবার না পেলে কেমন লাগে।ভাত দে  নইলে ,,,,,,,,।তেমনি চিন্তা করেন কেউ  করুনায় মারা গেছে তাকে সাদা কাপড়ে মোড়ায়ে মাটির নীচে পুঁতে রাখল কেমন লাগবে।
পাশাপাশি না দাঁড়িয়ে পিছনে পিছনে দুরে দুরে লাইন করে বা গায়েবনা জানাজা তো অনেক সময় হয়।
আর মাটির নীচে রাখা সেটি কে কবরের নিয়মে রাখলেই তো মৃত ব্যক্তি র চাহিদা পূর্ন হয়।
জীবিত থাকতে খাবার দিতে কত দরদ আর লোক দেখানো আর মারা গেলে স্ত্রী পুত্র সন্তান কেউ কারো নয়।
শুধু ভাই রাসের ভয় না মরার ভয়!পিপিই নিয়ে যদি রোগী দেখা যায় তাহলে কবর জানাজা বা অন্য সৎকারের সমস্যা কোথায় ।বা তিন ফুট দুরে থেকে রোগী দেখতে সমস্যা কি।হাসপাতালে আসতে অসুবিধা কি?ডিজিটাল মিটার দিয়ে রোগী নিজেই জ্বর মাপতে পারে।সর্দি, কাশি,শ্বাসকষ্ট তো বোঝাই যায় ।নেবুলাইজার বা ইনহেলার বা অক্সিজেন সিলিন্ডার দিবেন কিনা লিখে দিবেন ।রোগী যদি তার আপনজনদের বাঁচাতে চায় নিজেই অন্য ঘরে বা বাসার বাইরে তাঁবু টানিয়ে থাকবে।
সবার পাশে বা দৃষ্টিগোচর থেকে মৃত্যু র স্বাদ গ্রহণ করবে।পিপিই র মত রেডিমেট ডিজইনফেক্ট করা বৈজ্ঞানিক  কফিন ধর্ম রক্ষা করে তৈরি করতে হবে।
যে রোগের ঔষধ নেই।একা থাকা যার সমাধান ।তো এক ঘরে থাকলে সমস্যা কি?সবাই তো জানাজা, কবর চায় ।যারা আত্মীয় স্বজন তারাও চায়।জীবিত  থাকতে  খাবারের চেয়ে মৃত্যু যাত্রী র জন্য দাফন ,কাফন ,জানাজা, কবর, অনেক তৃপ্তির ।সর্বশেষ ক্ষুধা ।এটা যে উত্তরাধিকার, সমাজ, সভ্যতা, সংগ, সমিতি,মেটাতে না পারে তারও ঐ অধিকার পাওয়া র অধিকার নেই।
মোঃ ইমাউল হক পিপিএম
ইন্সপেক্টর ইন্টেলিজেন্স এন্ড মিডিয়া সেল
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন কক্সবাজার

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo