• জাতীয়

একটা জাতি ধ্বংস করার জন্য মাদক বড় হাতিয়ার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • জাতীয়
  • ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৮:২৭:১০

সিএনআই ডেস্ক: একটা জাতিকে ধ্বংস করার জন্য মাদক সব থেকে বড় হাতিয়ার বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজামান খান কামাল। আজ শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আহছানিয়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যুব সমাজের মধ্যে মাদক ঢুকিয়ে দিতে পারলেই সেই জাতি ধ্বংস নিশ্চিত। আমাদের দেশের যুব সমাজকে মাদকাসক্ত করার নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। মাদকাসক্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে নানামূখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের মতো মাদকের বিরুদ্ধেও সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সরকার জঙ্গি দমনে সফল হয়েছে। জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের মতো মাদকের বিরুদ্ধেও সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করেছে। সকলের সহযোগিতায় এই মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকার সফল হবে। ঢাকা আহছানিয়া মিশন পরিচালিত মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের ৩০ বছরপূর্তি উপলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আহছানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলম। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সঞ্জয় কুমার চৌধুরী, আহছানিয়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ফজলে এলাহী এবং ঢাকা আহছানিয়া মিশনের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক উৎপাদন না করেও আমরা মাদকের শিকার। তাই মাদক পাচারের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। মুজিব বর্ষকে সামনে রেখে মাদক নির্মূলে সরকার ও বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত পদপে গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, দেশের কারাগারগুলোর বন্দিদের মধ্যে ৩০ দশমিক ০৪ শতাংশই মাদকে সম্পৃক্ত। তাদের মধ্যে মাদকাসক্ত ও মাদকবহনকারী রয়েছে। বিপুল সংখ্যক এই মাদকসম্পৃক্তদের কারাগারে রাখা তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এদের জন্য মাদকসম্পৃক্ত নন এমন বন্দিরাও ঝুঁকিতে থাকেন। তিনি আরো বলেন, এই মাদকসম্পৃক্ত বন্দিদের আলাদা রাখার চেষ্টা চলছে। কিন্তু কারাগারাগুলোতে ধারণমতার দ্বিগুণ বন্দি থাকায় তা সব সময়ে করা যায় না। তারপরও কারাগারে মাদক ঠেকাতে সন্দেহভাজন বন্দিদের তল্লাশির জন্য ডগ স্কোয়াডের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই ডগ স্কোয়াড দিয়ে আগামীতে তল্লাশি করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে মাদকবিরোধী প্রতিবেদনের জন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার দুই সাংবাদিকের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। স্মারক পেয়েছেন যমুনা টেলিভিশনের নাযমুস সাইদ ও দৈনিক সমকালের তাসলিমা তামান্না। এ ছাড়া আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সুরা বিভাগের ১০ জন সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়। সবশেষে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo