দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদারকে একাডেমিক ভবনে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কৃষি অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে কৃষি অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কৃষি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাস, উদ্যানতত্ত¡ বিভাগের প্রফেসর ড. তারিকুল ইসলাম, কৃষি অনুষদের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সানিউল ইসলাম সৌরভ, ডিবেটিং স্যোসাইটির সভাপতি জাহিদ শিহাব ও রিয়াদ খান, রাশেদ ,ফরহাদ হোসেন ,সৈকত, সারওয়ার হোসেনসহ প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষকের অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে মিডিয়ায় একটি খবর প্রকাশিত হয়। সেই খবরটির তথ্য দিয়েছিলেন ওইদিনের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদার। সেই তথ্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের কয়েকজন শিক্ষক প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদারের অফিস রুমে এসে কেন তথ্য দিয়েছিলেন এজন্য লাঞ্চিত করেন। তিনি যে তথ্য মিডিয়ায় দিয়েছিলেন তার পুরোটাই তিনি রিজেন্ট বোর্ডের সিন্ধান্তের ভিত্তিতেই দিয়েছিলেন। তিনি দায়িত্বশীল জায়গায় থেকেই যতটুকু তথ্য দেওয়ার সেটুকুই দিয়েছেন। কিন্তু প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের কতিপয় শিক্ষক এসে একজন সিনিয়ার প্রফেসরের সাথে এরকম লাঞ্চিতের ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। যার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই আমরা সবাই। মানববন্ধনে উদ্যানতত্ত¡ বিভাগের প্রফেসর ড. তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘মিডিয়াতে বক্তব্য দিতে গিয়ে একজন শিক্ষককে লাঞ্চিত হতে হয় এটা খুবই নিন্দনীয়। একজন শিক্ষক হয়ে আরেকজন শিক্ষককে লাঞ্চিত করার মত ঘটনা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগেও ঘটেছে। আমরা এসব চাই না। পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মিলে একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’ কৃষি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড.ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদারকে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের কয়েকজন শিক্ষক যে লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটিয়েছে সেজন্য আমরা সবাই লজ্জিত! আমরা একজন শিক্ষক হয়ে অপর আরেকজন শিক্ষককে হয়রানি ও প্রতিহিংসামূলক আচরণ থেকে বেড়িয়ে আসতে পারছি না। শ্রীপতি সিকদার একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়ার শিক্ষক। তাঁকে লাঞ্চিত করা মানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বদনাম করা। আমাদের যদি কোন দাবি থাকে কিংবা জানার থাকে তাহলে সবাই মিলে আলোচনার মাধ্যমে সেগুলো সমাধান করা উচিৎ।’ এ ব্যাপারে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সাধারন সম্পাদক ডাঃ হারুন অর রশিদ বলেন , প্রগতিশীল ফোরামের কয়েকজন শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার শ্রীপতি শিকদারের নিকট গিয়েছিলেন এক বিষয় জানার জন্য । সেই সময় উভয় পক্ষের শিক্ষকদের মধ্যে বাগবিতন্ড হয় এবং গত মঙ্গলবার শ্রীপতি শিকদারের অফিসে গিয়ে বিয়য়টি সমাধান হয় । প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অংশ হিসাবে কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা ভুল বুঝিয়ে এই মানববন্ধন করিয়েছেন । এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. খালিদ হোসেন বলেন, ‘শিক্ষক লাঞ্চিতের ঘটনায় এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মামলাও হয়েছিল। বর্তমান সময়ে প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদার স্যারকে লাঞ্চিত করা হয়েছে। তিনি আমাদের কাছে এখনো লিখিত কোন অভিযোগ দেননি। যদি লিখিত অভিযোগ দেন তাহলে আমরা প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
মন্তব্য ( ০)