• সমগ্র বাংলা

চুয়াডাঙ্গায়  ভুয়া হোমিও চিকিৎসকসহ দুজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদন্ড

  • সমগ্র বাংলা
  • ১৪ জানুয়ারী, ২০২০ ২১:১৬:৪২

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:  চুয়াডাঙ্গায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা পৃথক দুই স্থানে অভিযান চালিয়েছে। এ অভিযানে দুটি এক ভুয়া হোমিও চিকিৎসকসহ দুজনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের সনাতনপুর গ্রামের মৃত বাবর আলী মন্ডলের ছেলে আব্দুল মালেক (৫০) ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাসনহাটি গ্রামের পরিতোষ কুমার ঘোষের স্ত্রী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শরোজগঞ্জ বাজারের হোমিও চিকিৎসক ( তার নিকট থেকে হোমিও চিকিৎসার কোন বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি) লিপিকা রানী (৩৫)। গতকালই তাদেরকে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।   ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিয়ে গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ ও উপসহকারী পরিচালক আকবর হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আলমডাঙ্গার সনাতনপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের বাড়িতে অভিযান চালান। এ সময় তার বাড়ি থেকে ৩ফুট লম্বা একটি গাঁজা পাছ উদ্ধার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) স্বারনীর ১৮ (ক) ধারায় ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।   অপরদিকে, গতকাল বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সদর উপজেলার শরোজগঞ্জ বাজারের প্রান্ত হোমিও হলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় প্রান্ত হোমিও হলের হোমিও চিকিৎসক লিপিকা রানীর শিকারোক্তিতে সেখান থেকে ৯০ ভাগ অ্যালকোহল যুক্ত ১৭৩ বোতল রেকটিফাইট স্পিরিট উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৫ হাজার ১৯০ মিলিলিটার। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) স্বারনীর ২৪ (ক) ধারায় ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাধ্যমে আরও জানা গেছে, হোমিও চিকিৎসক লিপিকা রানী তার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। সাজাপ্রাপ্তদের গতকালই জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগীতা করেন বেঞ্চ সহকারী আব্দুল লতিফ ও পুলিশ সদস্যরা।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo