• জাতীয়

ভ্যানচালক বাবার স্বপ্ন ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হবে, অবশেষে হত্যার আসামি!

  • জাতীয়
  • ১০ অক্টোবর, ২০১৯ ২৩:৪৬:৪২

নিজস্ব প্রতিবেদক: রৌদ্র আর বৃষ্টিতে ভিজে খেয়ে না খেয়ে ভ্যান চালিয়ে ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার পড়তে বুয়েটে পাঠিয়েছিলেন বাবা।সেই বাবার স্বপ্ন আর কষ্ট আবরার হত্যাকাণ্ডে সবকিছুই ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল।বন্ধুত্ব আর রাজনীতিতে মিনিটেই চোখের সামনে নেমে আসলো অন্ধকার। বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার রয়েছেন ভ্যানচালকের ছেলে আকাশ। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ছেলে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছে ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারেননি বাবা। ছেলের গ্রেপ্তারের খবর শুনে প্রথমে অবিশ্বাস করলেও পরে নিশ্চিত হয়ে গোটা আকাশই যেন খানখান হয়ে ভেঙে পড়েছে মাথায় উপর। দেশজুড়ে আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আসামি হয়ে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন ছেলে  মো. আকাশ হোসেন। ছেলেকে দেখতে ঢাকায় এসেছিলেন ব্যানচালক আতিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১০অক্টোবর) ঢাকার আদালত প্রাঙ্গনে আকাশের বাবা আতিকুল ইসলাম তার ছেলেকে নিয়ে বড় স্বপ্নের কথা বলছিলেন। ভ্যান চালিয়ে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার করার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু দেশের উচ্চশিক্ষার শীর্ষ বিদ্যাপীঠে এসে ছেলের এমন কাণ্ডে নিজেকে কোনও সান্তনাই দিতে পারছেন না এই অসহায় বাবা। মিডিয়ার সামনে বড় নিঃশ্বাস ফেলে ভেঙ্গে পড়েন আকাশের বাবা। আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার তো কোথাও যাওয়ার নেই। দরিদ্র মানুষ আমি।আজ মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। অমানবিক পরিশ্রম করে তিনি মেধাবী সন্তানকে বুয়েটে ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু ছেলে আবরার হত্যার আসামী। এটাই আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার বিশ্বাস ছেলে এমন কাজ করতে পারে না। এদিকে বুধবার রিমান্ড আবেদনের শুনানিকালে আকাশসহ দুই আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় বিচারক তাদের কিছু বলার আছে কিনা জিজ্ঞাসা করেন। এ সময় আকাশ জানান, তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। ভিডিও ফুটেজেও তাকে দেখা যায়নি। আকাশের বাবা আতিকুল ইসলাম বলেন, আকাশ ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার সদস্য, এটা জানতাম না। তবে ছেলেকে রাজনীতিতে জড়িত না হতে বারবার নিষেধ করেছি। সে যদি আমার কথা শুনতো তাহলে আজ এ পরিস্থিতির শিকার হতে না। আমার পরিশ্রম আর কষ্টগুলোই কি বিফলে যাবে?। আতিকুল বলেন, ‘আমার সব স্বপ্ন শেষ। এখন স্বপ্ন পূরণ তো দূরের কথা, জীবনটাই বাঁচানো দায় হয়ে পড়ছে। আকাশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছিল জয়পুরহাট জেলার সবাই তার সুনাম করেছিল। এলাকার মানুষ তার লেখাপড়ায় নিজ থেকে সহযোগিতা করেছে। আজ সব শেষ হয়ে গেল। ও আল্লাহ আমার মতো অসহায় একজন মানুষকে এতোবড় বিপদ কেন দিলে?।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo