• জাতীয়

এক চালান পৌঁছে দিলেই লাখ টাকা

  • জাতীয়
  • ০৬ আগস্ট, ২০১৯ ১৭:০৯:০৪

রাজধানীর উত্তরায় প্রাইভেটকারে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে আসা ১ হাজার ৭৫ বোতল ফেনসিডিলের চালান আটক করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উত্তরার ৭নং সেক্টরের মির ফাস্টফুড অ্যান্ড কফির সামনে থেকে এ ফেনসিডিলগুলো জব্দ করে র‌্যাব। এ সময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারসহ সুমন মিয়া (৩০) ও সজীব হোসেন (৩০) নামে দুজনকে আটক করা হয়। এছাড়া তিনটি মোবাইলফোন ও ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব বলছে, অভিনব কায়দায় কাপড় ব্যবসার আড়ালে মাদক পরিবহন করছিল আটকরা। তারা আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সদস্য। র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম জানান, আটক সুমন জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে পেশায় একজন কাপড়ের ব্যবসায়ী। খানকানাপুর বাজারে তার একটি কাপড়ের দোকান আছে। কাপড়ের ব্যবসার পাশাপাশি সে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায় জড়িত। তার একটি ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার আছে এবং সেই প্রাইভেটকারে মাদক নিয়ে রাজধানীসহ আশপাশের জেলায় যেত। জব্দ মাদকের চালানটি চুয়াডাঙ্গা দর্শনার মাদক ব্যবসায়ী মান্নানের কাছ থেকে নিয়ে উত্তরার মাদক ব্যবসায়ীর হাতে পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল। মাদকের চালানটি উত্তরায় পৌঁছে দিলেই পেতেন এক লাখ টাকা। এর আগেও ৮-১০টি মাদকের চালান চুয়াডাঙ্গা থেকে রাজধানীতে পৌঁছে দিয়েছে বলে স্বীকার করে। চালানপ্রতি মাদক ব্যবসায়ীরা তাকে ৮০ হাজার থেকে লাখ টাকা দিত। তার নামে ফরিদপুর থানায় একটি মাদক মামলা আছে এবং রাজবাড়ী থানায় আরেক মাদক মামলায় দুই মাস কারাভোগও করেছেন সুমন। মাদক পরিবহনে সজীব তার সহযোগী হিসেবে কাজ করত। সজীব জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে পেশায় একজন ড্রাইভার। সে ১০ বছর ধরে রাজবাড়ীসহ আশপাশের এলাকায় রেন্ট-এ-কারের গাড়ি চালিয়। রেন্ট-এ-কারের গাড়ি চালানোর পাশাপাশি সে দীর্ঘদিন ধরে মাদক পরিবহনও করে। ফেনসিডিলের চালানটি উত্তরায় পৌঁছে দিলে সুমন পেতো ২০ হাজার টাকা। এর আগেও সে একই কায়দায় ৬-৮টি মাদকের চালান পরিবহন করেছে। রাজবাড়ী থানার একটি মাদক মামলায় সুমনও কারাভোগ করেছে মাস তিনেক।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo