• অপরাধ ও দুর্নীতি

ওয়াসার ১১টি খাতে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুদক

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ১৮ জুলাই, ২০১৯ ১৫:৩৯:২১

ওয়াসার ১১টি খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেন দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান। প্রতিবেদনে এসব দুর্নীতি প্রতিরোধে ১২টি প্রস্তাব দেয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। এতে বলা হয়েছে, ওয়াসার ১১ খাতের ৮টি প্রকল্প মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। অথচ এর আগেই ঠিকাদারদের টাকা শোধ করা হয়েছে। কয়েকজন নির্দিষ্ট ঠিকাদারকে কাজ দেয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। এছাড়া ব্যক্তি মালিকানাধীন গভীর নলকূপ স্থাপন, মিটার রিডিং ও রাজস্ব আদায়েও পাওয়া গেছে দুর্নীতির অভিযোগ। পরামর্শক ও ঠিকাদার নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ। দুদক কমিশনার বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ না করে বিভিন্ন অজুহাতে প্রকল্প বাস্তবায়নে সময়সীমা ও প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো হয়। এক্ষেত্রে প্রকল্প পরিচালকসহ প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী এবং ওয়াসার (পানি সরবরাহ ও পয়:নিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ) ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ যুক্ত থাকেন। মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘মিরপুরে ৫২১ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে ৫২ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে। কাজের মান ও পরিমাপের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসূত্র করে এই অনিয়ম হয়েছে।’ ‘ঢাকা মহানগর পানি সংগ্রহ প্রকল্পে ৫৫২ কোটি টাকা বেশি ব্যয় দেখানো হয়েছে। সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও এই কাজ সময়ের মধ্যে শেষ হওয়া সম্ভব না।’ ‘দুদকের তদন্তে দেখা গেছে, এই কাজগুলো ওয়াসার কর্মকর্তাদের পছন্দের ঠিকাদারকে দেওয়া হয়েছে বা এ সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওভারটাইম না করেই বিল নেয়।’ ওয়াসার বার্ষিক প্রতিবেদন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও দুদকের নিজস্ব অনুসন্ধানে এসব চিত্র উঠে পেয়েছে দুদক। আর এই দুর্নীতি প্রতিরোধে ১২টি সুপারিশ করেছে তারা। বিভিন্ন প্রকল্পে অতিরিক্ত খরচ হয়েছে উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘কালক্ষেপণের কারণে এমন হয়েছে। এছাড়া ঠিকাদারদের তাদের কাজের চেয়ে বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। এতে কাজ তুলে নেওয়া যাচ্ছে না। তাই কাজের মান ও পরিসর বিবেচনা করে টাকা ছাড় করলে ভালো ফল পাওয়া যেত। বলা যায় স্পষ্টতই এখানে ওয়াসার সংশ্লিষ্টতা আছে।’ সিএনআই/এসআই

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo