• বিনোদন

প্রসংশিত বাঙালিয়ানা ভিন্নধর্মী গল্প 'মনে প্রানে'

  • বিনোদন
  • ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ ১১:২১:২৯

বিশেষ দিবসে প্রচারিত নাটকগুলো নিয়ে দর্শকের প্রত্যাশা থাকে একটু বেশি। যেমন দুই ঈদ, ভালোবাসা দিবস, পহেলা বৈশাখ ইত্যাদি দিনগুলো দর্শকের জন্য বিশেষ! শেষ হয়েছে ভালোবাসা দিবস (১৪ ফেব্রুয়ারি)। অন্যান্যবারের মতো এবারের ভালোবাসা দিবসে প্রচার হয়েছে বেশ কিছু নাটক। ভালোবাসা দিবসের কয়েকটি নাটক এসেছে আলোচনায়। তার মধ্যে থেকে বিশেষ ভাবে দর্শকদের মনে দাগ কেটেছে জাফরীন সাদিয়া'র রচনায় রুবেল হাসান পরিচালিত ‘মনে প্রানে’ টেলিছবিটি। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান 'জাফরীন ষ্টুডিও'র ইউটিউব চ্যানেলে টেলিফিল্মটি অবমুক্ত করা পর দর্শক প্রতিক্রিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ার পর্যালোচনা ও ইউটিউব ভিউ বলছে, অনন্য নাটকের পাশাপাশি ভালোবাসা দিবস কাঁপিয়েছে 'মনে প্রানে' নাটকটি। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন অপূর্ব, মেহজাবিন ও মৌসুমী হামিদ। আজকাল খুব সহজেই ছেলে মেয়েদের প্রথম দেখায় ভালোবাসা হয়ে যাওয়ার মতো সস্তা নাটকের অভাব নেই। নায়ক-নায়িকার ধাক্কা খেয়ে চুম্বকের মতো আকর্ষণ তৈরি করে লাভ স্টোরি নাটকও দেখানো হয়। এর বাইরেও যে লাভ স্টোরি হতে পারে তার প্রমান এবারের ভালোবাসা দিবসের স্পেশাল নাটক 'মনে প্রাণে'-র গল্পটা তাই দেখালো। লাভ স্টোরির সাথে সোশ্যাল কনসাসনেস যোগ করে ডিফারেন্ট প্রেজেন্টেশন ছিল। ভিন্নধর্মী গল্প, সংলাপ বলার ধরনে ছিল নতুনত্ব। দৃষ্টিনন্দন সব মনোরম লোকেশনে দৃশ্যধারণ ও শ্রুতিমধুর মিউজিক। বাংলা নাটক যেখানে একই ঘরে, একই জায়গায় সীমাবদ্ধ, যেখানে নায়ক নায়িকা ছাড়া আর কোনো চরিত্র বলতে গেলে দেখা যায় না। সেখানে এই নাটকে দর্শক পাবে এক অন্যরকম চিত্র যা চোঁখে আরাম দিবে। তাছাড়া একটি হোটলে ভাষার মাসে দেশের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আমাদের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করে জাতীয় পতাকার প্রতি অন্যরকম ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ দেখানো হয়েছে। যা ভালোবাসা দিবসের নাটকে দেখা যায় না। 'মনে প্রানে' নাটক তাই দেখিয়েছে। নাটকটিকে এক কথায় বলা যায়-'love story as well as branding of local food.' ভেরিয়েশন ছিল অন্য অনেক টিপিক্যাল নাটকের ভিড়ে। 'মনে প্রানে' নাটকটি যে জনসচেতনতার দেওয়ার চেষ্টা করেছে তা হলো মনে প্রাণে ভালোবাসুন কাছের মানুষকে, মনে প্রাণে ভালোবাসুন দেশি খাবারদাবারকে। কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি। যতই চায়নিজ, মোগলাই বা কন্টিনেন্টাল পেট পুরে খাওয়া হোক না কেন সারাদিনে একবার মাছ-ভাত না পেটে গেলে বাঙালির খাওয়া পরিপূর্ণ হয় না। কিন্তু বাঙালির প্রচলিত সেই 'মাছে ভাতে বাঙালি' উক্তিটি আজ বিলুপ্তপ্রায়। আর এই নাটকে মনে করিয়ে দিয়েছে আমাদের বাঙালিয়ানা খাবারকে। নাটকে দেশীয় বাঙালিয়ানা খাবারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দেশি খাবার এর উপর জোর দিয়ে এমন কনসেপ্ট দেশের আর কোনো নাটকে এখনো হয়নি বললে ভুল হবে না। সে দিক থেকে গল্পকার জাফরীন সাদিয়া ও পরিচালক রুবেল হাসান সফল।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo