• আন্তর্জাতিক

চুপচাপ ছক, জানত কেন্দ্রীয় সরকার, উরির মতোই নজর রেখেছিলেন মোদী

  • আন্তর্জাতিক
  • ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ ১১:৩৫:৪৯

অভিযান সফল করে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানগুলি নিরাপদে ফিরে আসার পরে মঙ্গলবার সকালে জানতে পারল সারা দেশ। কেন্দ্রীয় সরকার কিন্তু বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই পাক মাটিতে জইশের ঘাঁটি ধ্বংস করার জন্য বায়ুসেনার এই পরিকল্পনার কথা জানত। এবিপি নিউজ-এর খবর অনুযায়ী, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো এ বারেও বিমান হানার সময়ে সাউথ ব্লকে আগাগোড়া হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঠিক কী ভাবে ছক কষা হয়েছিল এই অভিযানের? সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, বায়ুসেনার মিরাজ বিমানের তিনটি স্কোয়াড্রন থেকে দু’টি স্কোয়াড্রনকে অভিযান চালানোর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। দু’টি স্কোয়াড্রন থেকে ছ’টি করে মোট বারোটি মিরাজ ২০০০ বিমানকে বাছা হয়। এ ছাড়াও কোনও বিমানের জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে উড়ন্ত অবস্থাতেই তাতে জ্বালানি ভরার জন্য একটি জ্বালানি সরবরাহকারী বিমানকেও পাঠানো হয়। মিরাজ যুদ্ধ বিমানগুলি যে রুটে যাওয়ার কথা ছিল, সেই পথে আগাম নজরদারি চালাতে ভাটিন্ডা এয়ারবেস থেকেও একটি বিমান ওড়ানো হয়। জানা গিয়েছে, ওই সময়ে আকাশে কোনও পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান উড়ছিল কি না, তাও দেখে নেওয়া হয়। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ড্রোনের সাহায্যেও নজরদারি চালানো হয়। সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরে বারোটি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধ বিমান নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক ভূখণ্ডে ঢোকে। প্রথমে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর পেরিয়ে খাইবার পখতুন্ডা পর্যন্ত যায় বিমানগুলি। এর পরে মনসেনা জেলার বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের সবথেকে পুরনো ঘাঁটিতে হামলা চালানো শুরু হয়। লেজার গাইডেড বোমা ফেলে কুড়ি থেকে বাইশ মিনিটের অপারেশনে জইশের সব থেকে বড় প্রশিক্ষণ শিবির উড়িয়ে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই গোটা অভিযান চলার সময়ে সাউথ ব্লকে থেকে অভিযানের খবরাখবর নিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঠিক যেভাবে উরির হামলার পরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সময়ে নজর রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবিপি নিউজ-এর আরও দাবি, খোদ বায়ুসেনা প্রধান বীরেন্দ্র সিংহ ধানওয়া নিজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পরিকল্পনা জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, প্রত্যাঘাত করার জন্য বিকল্প কয়েকটি প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আকাশপথে হামলাতেই সিলমোহর দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এর পরেই শুরু হয় চূড়ান্ত তল্লাশি। জ্বালানি সরবরাহকারী ট্যাঙ্ক দিয়ে আকাশপথে পরীক্ষামূলকভাবে ওড়ানো হয়। যে লক্ষ্যগুলিতে আঘাত হানা হবে, ২০ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সেগুলি চূড়ান্ত করে নেওয়া হয়েছিল। সূত্র : এবেলা

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo