• আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানকে মোকাবেলায় অত্যাধুনিক ‘নাগ’ প্রস্তুত ভারতের

  • আন্তর্জাতিক
  • ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ ১৭:৩১:২৪

পাকিস্তানের সঙ্গে যদি সংঘাত হয় তাহলে ভারতের পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে বিশেষ করে রাজস্থানের বিরাট মরু অঞ্চল দিয়ে পাকিস্তানের বড়সড় ট্যাঙ্ক হানার আশঙ্কা করছে ভারত। তাই ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় সূত্র বলছে, সীমান্ত জুড়ে ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ি, ছোট ও মাঝারি পাল্লার আগ্নেয়াস্ত্র মোতায়েন করেছে পাকিস্তান। পাল্টা মোকাবিলায় তাই ‘নাগ’-কে প্রস্তুত রাখছে ভারতও। মারাত্মক সাপের একটা ছোবলেই যেমন নিশ্চিত মৃত্যু, ঠিক তেমনই এক অস্ত্র রয়েছে ভারতের অস্ত্রাগারে। বিশাল প্রান্তর দিয়ে যদি হানা দেয় শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ক তাহলে রুখে দেবে এই অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (এটিজিএম) ‘নাগ’। ২০১৫ সালে ভারতীয় বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল নাগ ক্ষেপণাস্ত্র। এখন তা অনেকটাই উন্নত। ২০১৯ সালের মধ্যে তৃতীয় প্রজন্মের নাগ ক্ষেপণাস্ত্র বানানো শেষ হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র। বেঙ্গালুরুতে ‘অ্যারো ইন্ডিয়া ২০১৯’ শো-তে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থার (ডিআরডিও) মিসাইল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক সিস্টেমের ডিরেক্টর জেনারেল এমএসআর প্রসাদ বলেন, মে-জুন মাসেই পরীক্ষামূলক ব্যবহার চূড়ান্ত হবে তৃতীয় প্রজন্মের এই ক্ষেপণাস্ত্রের। খুব দ্রুত এটি ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠবে বলেও জানান তিনি। আশির দশকে সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের হাত ধরে এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। ডিআরডিও-র কাছ থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী আপাতত ৮ হাজার নাগ কিনবে। প্রথম ৫০০টি নাগের জন্য ‘অর্ডার’-ও দিয়েছে তারা। শুরুর দিকে রাতের পরীক্ষায় নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারলেও দিনের বেলায় মরুভূমির মারাত্মক তাপমাত্রায় ব্যর্থ হচ্ছিল নাগ। সেই কারণেই এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তি আরও অত্যাধুনিক করার কাজে হাত দেয় ডিআরডিও। আরও শক্তিশালী এবং আধুনিক ইনফ্রারেড সিকার লাগানো হয় নাগ-এ। এই নতুন সংস্করণের নাম দেওয়া হয় ‘প্রসপিনা’। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে রাজস্থানের মরু অঞ্চলে চন্দন ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে দিনের বেলায় পরীক্ষামূলকভাবে ছোড়া হয় নাগ। সে পরীক্ষায় প্রসপিনা নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানে। নাগ ক্ষেপণাস্ত্র বহন করবে ‘নামিকা’ কেরিয়ার। একসঙ্গে ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম এটি। ডিআরডিও এমন একটি নাগ ক্ষেপণাস্ত্রও তৈরি করছে যেটির ওজন মাত্র ১৪ কিলোগ্রাম। একে নাগের ‘মানব বহনক্ষম সংস্করণ’ বলা হচ্ছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo