• অপরাধ ও দুর্নীতি

ধামরাই থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও মোটর সাইকেল ফেরত

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ১৩ আগস্ট, ২০২৪ ১৭:৫৪:০৮

ছবিঃ সিএনআই

মা‌নিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ঢাকার ধামরাই থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও মোটর সাইকেল, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ফেরত দেওয়া শুরু হয়েছে । অজ্ঞাত পরিচয়ে কিছু লোক থানায় এসে অস্ত্র, মোটর সাইকেল, ফ্রিজসহ কিছু মোবাইল ফোন ফেরত দি‌য়ে‌ছে।

মঙ্গলবার (১৩ আগষ্ট) আনসার প্লাটন কমান্ডার (পিসি) মোঃ ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে (৭ আগষ্ট) থানার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বির্ভিন্ন সময়ে অস্ত্র ও মোটর সাইকেলসহ থানার বিভিন্ন জিনিসপত্র তার কা‌ছে জমা দিয়ে যায় অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিগণ।

আনসার প্লাটন কমান্ডার (পিসি) মোঃ ইসমাইল হোসেন বলেন, ফেরত দেওয়া অস্ত্রের মধ্যে এস, এমজি ১টি, ম্যাগজিন ২টি, তাজাগুলি ৫১টি, চায়না রাইফেল ১টি, শর্টগান ৪টি, রিভলবার ১টি, শিষার রাউন্ড ১৮৯টি, রাবার বুলেট ৫৪টি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া থানার বিভিন্ন কর্মকর্তাদের প্রায় ১০টি মোটর সাইকেল এবং একটি ফ্রিজসহ ২৬টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কয়েকজন পুলিশ সদস্যদের মোটরসাইকেল এখনো পাওয়া যায়নি।

আনসার কমান্ডার ইসমাইল হোসেন আরও বলেন, আমি গত ৭ আগষ্ট সকালে ১৫ জন আনসার সদস্য নিয়ে ধামরাই থানার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত হই। এরপর থেকে আমরা থানা মসজিদের মাইক দিয়ে ঘোষনা দেই। যদি কোন ব্যক্তি থানা পুলিশের কোন অস্ত্র নিয়ে থাকেন তাহলে সেগুলি থানায় এসে জমা দিয়ে যাবেন। আপনাদের নাম পরিচয় গোপন রাখা হবে। এর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে অজ্ঞাত ব্যক্তি মোবাইল ফোনে অস্ত্র ও মোটর সাইকেলের কথা বললে আমরা ছাত্র জনতাকে সাথে নিয়ে সেগুলি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা থানার গেটে এসে অস্ত্র মোটসাইকেল ও মোবাইল ফোন জমা দিয়ে গেছে।

অস্ত্র ও মোটর সাইকেল এবং মোবাইল জমা দেওয়ার বিষয়ে তিনি আরো জানায়, গতকাল বিকেলে ধামরাই পৌর শহরের কায়েত পাড়া এলাকা থেকে এক ব্যক্তি মোবাইলে ফোন দিয়ে বলে আমাদের এখানে উপজেলা আনসারদের দুটি অস্ত্র আছে। আপনারা এসে নিয়ে যান। কারণ এখানকার লোক আপনাদের কাছে যেতে সাহস পায় না। পরে আমরা দ্রুত সেখানে গিয়ে বস্তার ভিতর থেকে অস্ত্র দুটি উদ্ধার করে নিয়ে আসি। উদ্ধার করা সকল অস্ত্র, মোটর সাইকেল, মোবাইল ফোন, ধামরাই থানার দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর ২৭ বেঙ্গল সার্জেন্ট মোঃ আমিনুল ইসলাম এর কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, ধামরাই থানায় কতগুলি অস্ত্র ও গুলি ছিল সেগুলি হিসাব করে বলতে হবে। তবে এই মুহূর্তে সঠিক তথ্য দেওয়া যাবে না। আমরা হিসাব করার পর জানিয়ে দিব। 

কিন্তু এখনো পুলিশ সদস্যরা থানায় হাজিরা দিলেও পুরোদমে কোন কার্যক্রম চালু করেন নি। সেনাবাহিনীর সদস্য ও আনসার সদস্যরা থানায় অবস্থান করছেন। কোন জিডি কিংবা অভিযোগ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না এখনো।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo