সাতকানিয়া(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়ে। তবে সড়কে শৃঙ্খলাহীন যানবাহন ও যানজট নিরসনে এগিয়ে এসেছে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
গত কয়েকদিন ধরে মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ট্রাফিক পুলিশ নেই। এমন পরিস্থিতিতে কেরানীহাট মোড়ে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি রেডক্রিসেন্ট, বিএনসিসি ছাড়াও কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
এছাড়াও সরকারের পদত্যাগের পর বিক্ষুব্ধ মানুষের হামলার আশঙ্কায় থানা ছাড়েন পুলিশ সদস্যরা। নিরাপত্তার অভাবে এখনো থানার কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। বাসিন্দাদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম নিরাপত্তাহীনতা।
এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ৭ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাকিব লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, '৯ আগস্ট থেকে সাতকানিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোন কর্মসূচী চলবে না। যে সমস্ত সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা যারা স্বেচ্ছায় শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করতে ইচ্ছুক তারা আমাদের কো-অর্ডিনেটরদের সাথে যোগাযোগ করবেন। এই স্বেচ্ছাসেবক টিমের কার্যাবলী স্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট।'
তিনি আরো বলেন, 'এ কো-অর্ডিনেটরদের দায়িত্ব হচ্ছে- ট্রাফিক মনিটরিং, সংখ্যালঘু সম্প্রাদায়ের উপাসনালয় ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। চুরি ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও লুটতরাজের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ প্রতিরোধ গড়ে তোলা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে মাঠ পর্যায়ের উপস্থিত প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সহায়তা করা।'
ঢাবি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাকিব বলেন, 'সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করলে প্রসাশনের সহায়তায় ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজ সে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। দেশ ল এন্ড অর্ডার জারি না হওয়া পর্যন্ত বাজার কমিটি, মসজিদ কমিটি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য কমিটি গঠন না করার জন্য সাতকানিয়ার সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ রইল। যদি এই ধরনের কাজ করতে গিয়ে কোন সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ ও প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সামাজিক সংগঠনগুলো ও শিক্ষার্থীরা যারা স্বেচ্ছাসেবী কাজ করতে আগ্রহী তারা সামগ্রিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমাদের কো-অর্ডিনেটরদের সাথে যোগাযোগ করবে। কো-অর্ডিনেটররা প্রয়োজনমত দায়িত্ব বণ্টন করবেন। দেশে ল এন্ড অর্ডার জারি হওয়ার পর স্বেচ্ছাসেবক টিমের কার্যক্রম অফিসিয়ালি বন্ধ হবে।'
এসময় তিনি সাতকানিয়ার কো-অর্ডিনেটরদের নাম ঘোষণা করেন তিনি। তারা হলেন- মো. জাকের হোসাইন (রাব্বি), মো. তৌহিদুল ইসলাম মাসুম, মো. ইফতেখার ইরফান, মোহাম্মদ তানজিম, আজিম উদ্দিন, মেজবাউল ইসলাম সিফাত, রাহাত হোসেন, জহির উদ্দিন ও সায়েদ।
মন্তব্য ( ০)