• সমগ্র বাংলা

চুয়াডাঙ্গায় যৌতুকের টাকার জন্য নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর বিষপানে মৃত্যু

  • সমগ্র বাংলা
  • ০৪ আগস্ট, ২০২৪ ১২:৫৭:২৯

প্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ পারিবারিক ভাবে  বিয়ের দেড় বছর পূর্ন না হতেই মাত্র ৮ মাস বয়সী কন্য সন্তান রেখে অভিমান করে  বিষপানে এক গৃহবধুর করুন মৃত্যু হয়েছে। পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে,  যৌতুকের টাকা দিতে না পেরে প্রতিনিয়ত স্বামী মামুনুর রশিদ মামুন ও শাশুড়ি মিনারা বেগমের  অমানুষিক নির্যাতনের  শিকার হয় ওই গৃহবধূ ইভা খাতুন ( ১৯)।

বিয়ের দেড় বছরের সংসারে এক পর্যায়ে অপমান আর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে যৌতুকের টাকা পরিশোধে ব্যার্থ পিতা মাতার ওপর চাপ দিতে তাকে গৃহবধু ইভা খাতুন।স্বামীর এভাবে যৌতুকের জন্য অপমান নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তার ওপর   অভিমান করে কৃষি জমিতে ব্যবহৃত বিষাক্ত রাসায়নিক ( ঘাসপোড়া ) খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এসময় দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এবং সেখানে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় গৃহবধু ইভা মারা যায়।

জানা গেছে, নিহত ইভা খাতুন জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের নিধিকুন্ডু গ্রামের ইউনুছ আলীর মেয়ে। দেড় বছর আগে চুয়াডাঙ্গার পাশ্ববর্তী  ঝিনাইদাহ জেলার কোটচাদপুর উপজেলার দূর্বাকুন্ডু গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে মামুনুর রশিদ এর সাথে তার পারিবারিক ভাবে  বিয়ে হয়।

মাত্র ৮ মাস বয়সী কন্যাশিশু মরিয়ম তাদের কোলজুড়ে  সংসার আলোকিত করে। 

 কিন্তু বিপত্তি ঘটে যৌতুকের টাকা নিয়ে। প্রায়ই তার স্বামী মামুন টাকা চেয়ে ইভাকে অপমান ও মারধর করতো। সবসময় তার শাশুড়ী মিনারা বেগমও নানারকম অত্যাচার ও অপমানজনক কথা বলতো।

 

একসময়  অপমান সহ্য করতে না পেরে গবীর ও অসহায় বাবা মাকে বিষয়টি জানায়। তারাও যৌতুকের টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। এজন্য স্বামীর ওপর  অভিমান করে গত ৩১ জুলাই ( বুধবার) সকাল ৮ টার দিকে তার শশুর বাড়িতে ঘাস পোড়া বিষ পান করে। সে সময় তাকে দ্রুত কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে জরীরু চিকিৎসা শেষে ঢাকায় রেফার্ড করে। পরবর্তীতে ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

 

এবিষয়ে নিহতের পিতা ইউনুছ আলী বাদী হয়ে ঝিনাইদাহ জেলার কোটচাঁদপুর মডেল থানায়  সাধারন ডায়েরী করেন। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo