• সমগ্র বাংলা
  • লিড নিউজ

শাহ আমানত সেতুতে অচল অবস্থা, শিক্ষার্থী-পুলিশ-বিজিবি মুখোমুখি 

  • সমগ্র বাংলা
  • লিড নিউজ
  • ১৮ জুলাই, ২০২৪ ১৬:৩১:০০

ছবিঃ সিএনআই

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামে মাঠে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশ, বিজিবি মুখোমুখি হয়েছে কয়েকটি জায়গায়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাথে ঘন্টা খানেক সময়ের জন্য কার্যত বিচ্ছিন্ন রাখে। এই সময় তাঁরা তাঁদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে মিছিল মিটিং অব্যাহত রাখে। তবে এর ভেতর বিজিবির একটি গাড়ি বহর এলে পুলিশ ও বিজিবির ফোর্স মিলে তাঁদের কোন ধরনের সহিংসতা ছাড়া সরিয়ে দিতে সমর্থ হয়। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও বিজিবির মধ্যে বচসা করতে দেখা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে পুলিশ কাদানে গ্যাস ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দিলে সেতুর উভয়প্রান্তে আটকে পড়া গাড়ি চলাচল শুরু হয়। 

উল্লেখ্য শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাব ও সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে’ আজ বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি সারা দেশে(সর্বাত্মক অবরোধ) পালন করছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এই কর্মসূচি চলাকালে শুধু হাসপাতাল, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে বলে গতকাল ঘোষণা দিয়েছিলেন তাঁরা। 

এদিকে পটিয়া সরকারি কলেজ থেকে কোটাবিরোধী বিক্ষোভের আধঘন্টা পর বিএনপির অফিস ভাংচুর করেছে বলে খবর পাওয়া যায়।  যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এই ঘটনা সংগঠিত করেছে জানা যায়।  বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সাড় ১১টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ের পটিয়া সরকারি কলেজ গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১১টার দিকে পটিয়া সরকারি কলেজ থেকে কোটাবিরোধী একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। কোটাবিরোধী শতাধিক ছাত্র কলেজ থেকে মিছিল সহকারে স্লোগান দিয়ে বের হয়। এ সময় তারা শান্তিপূর্ণ মিছিল শেষে পুনরায় কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে মিছিলটি শেষ করে।

এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মোঃ খোরশেদ আলম জানান, যুবলীগ নেতা জমির উদ্দিনের নেতৃত্বে বিএনপি অফিসে অতর্কিত হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, কোটাবিরোধী স্লোগান দিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল করেছে খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয় তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। বিএনপি অফিসে কারা হামলা করেছে তা জানা যায়নি। 

অপরদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন কোটা আন্দোলনকারীরা। এ কারণে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম শাহআমানত সেতু এলাকায় জড়ো হয়ে অবস্থান নেন কোটা আন্দোলনকারীরা। এরপর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বসে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে কর্ণফুলী ও আনোয়ারা পথে বহু গাড়ি আটকা পড়ে।

এদিকে আনোয়ারা, বাঁশখালীতে কোটা আন্দোলনের পক্ষে, বিপক্ষে কোন কর্মসূচি চোখে পড়েনি, দূরপাল্লার যান চলাচল চোখে না পড়লেও ছোট ছোট যানবাহনগুলো চলাচল করছে স্বাভাবিকভাবে। বাঁশখালী উপজেলার প্রধান সড়কে  জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। আনোয়ারা উপজেলার যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কর্ণফুলী উপজেলার শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ পাশে টোল প্লাজা ঘিরে অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কোটা আন্দোলন বিরোধী প্রায় তিনশ জনের একটি জটলা যানবাহন আটকে দিয়েছে। পরে বিজিবি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে বিজিবি সরে গেলে তারা পুনরায় জড় হতে শুরু করে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত এই অবস্থা অব্যাহত আছে। 

এই নিয়ে কর্ণফুলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান বলেন, দুপুর পৌনে একটার দিকে পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। 

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ জানান, বাঁশখালীতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, পক্ষে বিপক্ষে কোন কর্মসূচি দেখা যায়নি। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo