ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি করার পরও ইসরাইলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় তার আগ্রাসন চালিয়ে যাবে। সোমবার এক টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি আরও দাবি করেন, গাজা উপত্যকার সর্বদক্ষিণের শহর রাফায় হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ‘তুমুল সংঘর্ষ’ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে।
‘তবে এর অর্থ এই নয় যে, যুদ্ধ শেষ হয়ে যাচ্ছে। রাফাহর তুমুল সংঘর্ষ শেষ হওয়ার পর, ইসরাইলি সেনারা উত্তর গাজায় মনযোগী হবে।’
সাক্ষাৎকারে উত্তর ইসরাইলে অর্থাৎ লেবানন সীমান্তে আবারও সেনা মোতায়েনের কথা তুলে ধরেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘ইসরাইলের প্রতিরক্ষার স্বার্থে’ লেবানন সীমান্তে সেনা মোতায়েন জরুরি হয়ে পড়েছে।
নেতানিয়াহু এসময় কোনো রাখঢাক না করেই বলেন, তার সরকার কিছু পণবন্দিকে মুক্ত করার স্বার্থে হামাসের সঙ্গে সাময়িক যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে চায়। তবে ওই যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর আবার আগ্রাসন শুরু হবে, যা চলবে ‘হামাস ধ্বংস’ হওয়া পর্যন্ত।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস আল-আকসা তুফান অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৫০ ইহুদিকে ধরে গাজায় নিয়ে আসে। বর্তমানে উপত্যকায় ১১৬ জন ইসরাইলি পণবন্দি আটক রয়েছে বলে মনে করা হয়, যাদের মধ্যে অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, নেতানিয়াহুর সর্বশেষ সাক্ষাৎকার একথা প্রমাণ করে যে, তেলআবিব মার্কিন-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় বিশ্বাস করে না। অথচ ওই পরিকল্পনাটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদেও পাস হয়েছে।
হামাস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে দখলদার সব সেনা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত কোনো পণবন্দি মুক্তি পাবে না।
অন্যদিকে নেতানিয়াহুর ওই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট ফর দি লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন বা ডিএফএলপিও। তারা বলেছে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী গাজা যুদ্ধে ‘জয়লাভ’ করার যে বাসনা প্রকাশ করেছেন, তার মাধ্যমে তিনি প্রকারান্তরে গাজায় ইসরাইলের পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন।
ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ চার দফা দাবিতে দেশব্যাপী ম্য...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেল...
বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃব...
রংপুর ব্যুরোঃ বিএনপি'র জাতীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য ...
মন্তব্য ( ০)