• শিক্ষা
  • লিড নিউজ

কলেজ ভবনেই মদের দোকান! 

  • শিক্ষা
  • লিড নিউজ
  • ০৪ মার্চ, ২০২৪ ১৪:২৫:২৯

ছবিঃ সিএনআই

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ এগারো তলাবিশিষ্ট আধুনিক একটি ভবন আর জে টাওয়ার। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমানায় প্রবেশ করতেই আশুগঞ্জ গোলচত্বরে এর অবস্থান। ১১ তলা ওই ভবনের পুরোটা জুড়ে ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড আর ফেস্টুন। বাইরে থেকেই দেখা যায়, লিফটে করে শিক্ষার্থীরা নামছেন। সম্প্রতি ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপ ওই টাওয়ারটি কিনে নেয়।

চলতি বছর এখানে ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ তাদের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিল্ডিং এ থাকা পূর্বের মদের বারটি এখনো সরানো হয়নি। ফলে একই ভবনে পানশালা আর পাঠশালা থাকার বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। 

প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, পানশালা এখান থেকে সরে গেছে বলেই তারা জানতেন। কিন্তু এখনো আছে জেনে তারা অবাক হয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে অবগত করার পর তারা আশ্বস্ত করেছিলেন এটি দ্রুতই সরে যাবে। কিন্তু এখনো সরে না যাওয়ায় হতাশ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আর জে টাওয়ারের নিচতলায় আর জে টাওয়ার হোটেল এন্ড রিসোর্ট নামে মদের বার এবং বাকিতলায় আবাসিক হোটেল ছিলো। সম্প্রতি ক্যামব্রিয়ান অ্যাডুকেশন গ্রুপ ওই টাওয়ারটি কিনে নেয়। চলতি বছর এখানে ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ তাদের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। তবে এখন পর্যন্ত মদের বারটি সরে না যাওয়ায় অভিভাবকসহ স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

কয়েকজন অভিভাবক জানান, এ টাওয়ারে এখনো মদের বার রয়েছে, যা শিশুদের মানসিকতার ব্যাপক প্রভাব পড়বে। এটা সরিয়ে দেয়া উচিত। পৃথিবীর কোথাও একই ভবনে স্কুল আর মদের বার থাকার নজির আছে বলে আমাদের জানা নেই।আর জে টাওয়ার হোটেল এন্ড রিসোর্টের সহকারি ব্যবস্থাপক মো. শিহাব বলেন, এখান থেকে বারটি শিগগিরই সরিয়ে নেয়া হবে। এটি সরিয়ে নিতে আবেদন করাসহ কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। তবে এখনো সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এখানে বিকেল চারটার পর থেকে মদ বিক্রি হয়। এ সময় স্কুলের কোনো কার্যক্রম থাকে না।

ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা ফারুক আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমাদের জন্য দুঃখজনক। আমরাও চাই এটি এখান থেকে দ্রুত সরিয়ে নেয়া হোক। একটি স্কুলের ভবনেই মদের বার থাকার বিষয়টি একদমই যায় না।তিনি আরো বলেন, আগের মালিক থেকে ভবনটি কিনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হলেও রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কাজ শেষ হয়নি। যে কারণে আমাদের পক্ষ থেকে বার কর্তৃপক্ষকে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আগের মালিক জানিয়েছেন তিনি এটা সরিয়ে নিতে বলেছেন। 

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শ্যামল চন্দ্র বসাক জানান, ভবন মালিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। মদের বারটি মার্চের মধ্যেই চলে যাবে। যদি ওরা মার্চের মধ্যে না যায়, তাহলে আমরা এটি সরিয়ে দেবো।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo