ছবিঃ সিএনআই
গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বসতবাড়ির পাঁচটি আধা পাকা কক্ষ পুড়ে গেছে। এ ছাড়া আগুনে গোয়ালঘরে থাকা কয়েকটি গরু দগ্ধ হয়েছে। বারবার জানানোর পরও শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে যায়নি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রাসহ ভুক্তভোগী।
শুক্রবার ( ১ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. মাহবুব হোসেন। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের নেয়ামত আলীর ছেলে।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. মাহবুব হোসেন বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। পথিমধ্যে পুনরায় ফোন করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং ফায়ার সার্ভিসের প্রয়োজন হবে না বলে জানানো হয়। তাই আমরা যাইনি। আগুন লাগার খবর পেয়ে যাইনি, এ ধরনের অভিযোগ করে থাকলে সেটি অবশ্যই মিথ্যা।
ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম দ বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গরুগুলো গোয়ালঘরে তুলে পাশের বলদীঘাট বাজারে যাই। ঘণ্টা দুয়েক পর আমার ছেলে দৌড়ে এসে বাড়িতে আগুন লাগার বিষয়টি জানায়। বাড়িতে গিয়ে দেখি ঘরে আগুন জ্বলছে। এরপর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসেনি। স্থানীয়রা দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আমাদের গোয়ালঘরে বেঁধে রাখা নয়টি গরু আগুনে পুড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এলে আমাদের গরুগুলো এমনভাবে আগুনে পুড়ত না। মনে হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। এখন বাড়িতে কয়েকজন পশু চিকিৎসক এসে গরুর চিকিৎসা দিচ্ছেন।
কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজিজুল হক বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আগুনে বসতবাড়ির পাঁচটি রুম এবং কয়েকটি গবাদিপশু গুরুতর আহত হয়েছে। প্রতিটি গরুর শরীরের চামড়া পুড়ে মারাত্মক ক্ষত হয়েছে।
নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশে ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধীসহ সবার...
নিউজ ডেস্কঃ জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এবং পৃথিবী ও মান...
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ প্রতিরক্ষামূলক টানেল নেটওয়ার্ক নি...
নিউজ ডেস্কঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত নাহিদুল...
মন্তব্য ( ০)