• রাজনীতি
  • লিড নিউজ

জাপা চেয়ারম্যানের সম্পদ বেড়েছে ৫ বছরে ৩ গুন

  • রাজনীতি
  • লিড নিউজ
  • ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৪:৪৩:৩৭

ফাইল ছবি

রংপুর ব্যুরোঃ জাতীয় পাটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের আগে চড়েতেন ৪০ লাখ টাকা দামের প্রাডো গাড়িতে, এখন চড়েন ৮৪ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৫ টাকার জিপ গাড়িতে। গত পাঁচ বছরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এর সম্পদ বেড়েছে তিনগুণের বেশি।দ্বিগুণের বেশি সম্পদ বেড়েছে তার স্ত্রী শেরীফা কাদেরের।ব্যাংকে নগদ টাকা, বাড়ি ভাড়া ও শেয়ারও বেড়েছে এ দম্পতির। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেওযা হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

আর পাঁচ বছর আগে স্ত্রী শেরীফা কাদের চড়েতেন ১৫ লাখ টাকার গাড়িতে, এখন তিনি চড়েন ৮০ লাখ টাকার জিপে। পাঁচ বছর আগে মামলা না থাকলে এবার জিএম কাদেরের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। সেটি বিচারাধীন এবং তিনি ঋণমুক্ত। নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে,গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জি এম কাদের লালমনিরহাট-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। সেই হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছিলেন, তার নগদ ছিল ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭৩ টাকা।পাঁচ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার ২৫৩ টাকায়। একই সঙ্গে শেরীফা কাদেরের নগদ ছিল ২৭ লাখ ৬৪ হাজার ৭০১ টাকা, পাঁচ বছরে বেড়ে তা দাঁড়িয়েছে ৫৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫৬৩ টাকা।

এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঁচ বছর আগে জমা ছিল ১৩ লাখ ২ হাজার ৪৩৫ টাকা। এবার হয়েছে ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯৩ টাকা। স্ত্রীর ছিল ৪ লাখ ৭ হাজার ২৫৮ টাকা, তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখ ৯ হাজার ৩৫৯ টাকা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জি এম কাদের হলফনামায় উল্লেখ করেন,কৃষি,বাড়ি ভাড়া, ব্যবসা, শেয়ার বা সঞ্চয়পত্র, চাকরিতে তার বার্ষিক আয় নেই। প্রার্থীর ওপর নির্ভরশীলদের বাড়ি ভাড়ার ওপর আয় ১১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা, আর ব্যবসা থেকে পান ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন,বাড়ি ভাড়া থেকে আয় ৩ লাখ টাকা, শেয়ার সঞ্চয়পত্র আছে ৩০ লাখ টাকা আর প্রার্থীর ওপর নির্ভরশীলদের আয় ১০ লাখ টাকা। আগে চরতেন ৪০ লাখ টাকা দামের প্রাডো গাড়িতে, এখন চড়েন ৮৪ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৫ টাকার জিপ গাড়িতে।

পাঁচ বছর আগে স্ত্রী শেরীফা কাদের চড়তেন ১৫ লাখ টাকার গাড়িতে, এখন তিনি চড়েন ৮০ লাখ টাকার জিপে। নিজ ও স্ত্রীর নামে জমি, বাড়ি স্বর্ণালংকার বাড়েনি। পাঁচ বছর আগে মামলা না থাকলে এবার জি এম কাদেরের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। সেটি বিচারাধীন।তিনি ঋণমুক্ত।জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের এবার রংপুর-৩ এবং ঢাকা-১৭ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন দাখিল করেছেন।ইতোমধ্যে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে দুটি আসনেই তাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জি এম কাদের পেশায় একজন রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী। তিনি পাঁচবার সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে একবার পরাজিত হন। লালমনিরহাট-৩ আসন থেকে ১৯৯৬, ২০০৮ এবং ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন।তবে ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি ওই আসন থেকে জয়ী হতে পারেননি।রংপুর-৩ আসন থেকে তিনি ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর জি এম কাদের পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জাতীয় পাটির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান,নির্বাচনের সঠিক তথ্য দিতেই হবে।আর পাটির চেয়ারম্যান তিনি তার তথ্য ঘোপন রাখেনি,সব তথ্য দিয়েই হলফনামা দাখিল করেন।হলফনামায় স্থাবর,অস্থাবর সম্পাতির হিসাব দেন জাপার চেয়ারম্যান জিএম কাদের।দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের রংপুর-৩ সদর আসন থেকে তিনি লাঙ্গল মাকায় নির্বাচনের লড়ছেন।

প্রসঙ্গত,নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর।প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচার- প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে।ভোটগ্রহণ আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি (রোববার) অনুষ্ঠিত হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo